পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এক ছেলের চুরির অপরাধে মা ও বোনকে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম নলবুনিয়ায় । গত রোববার নলবুনিয়া গ্রামের কবির শেখের স্ত্রী হাওয়া বেগম (৩৫) ও কলেজ পড়–য়া কন্যা সেলিনাকে প্রকাশ্যে মারধর করে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ইন্দুরকনী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাওয়া বেগম। জানা যায়, শনিবার রাতে হাওয়া বেগমের ছেলে জি হায়দার স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র সাব্বির প্রতিবেশী মন্টু’র বাড়ি থেকে কয়েক বন্ধু মিলে কিছু মালামাল চুরি করে। সে রাতেই মা হাওয়া বেগম ছেলে সাব্বিরকে চাপ দিলে সে চুরির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে সাব্বিরের কাছে থাকা চোরাই মালামাল মন্টুদের ফেরত দিতে চায় হাওয়া। কিন্তু মন্টু ও তার লোকজন ফেরত দেয়া মালামাল নিতে অস্বীকার করে। আরো বেশি মালামাল ছিল বলে মন্টুরা দাবী করেন। এ ঘটনায় হাওয়া ও মন্টুদের মধ্যে বাকবিতান্ডতার সৃষ্টি হয়। পরে রোববার বাড়ির সামনের মালেকের দোকানে বসে সাব্বিরের পিতা কবির শেখের সাথে কথা কাটাকাটি হয় মন্টুর লোকজনের সাথে। এসময় হাওয়া বেগম তার স্বামী কবিরকে ডাকতে যায়। সেখানে স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল ইসলাম ও চৌকিদার খলিল উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে মন্টু, রুবেল, বিউটি, খাদিজা হাওয়া বেগম ও তার মেয়ে সেলিনাকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। ইউপি সদস্য আবুল হোসেন দ্বন্দ নিরশন বন্ধ রেখে উল্টো হাওয়ার স্বামী কবিরকে জাপটে ধরে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ করেন হাওয়া। তবে এ ঘটনায় এনামুল ইসলাম জানান, আমি কবিরকে আটকে রাখি নাই। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। মারামারির ঘটনা সত্য। হাওয়া বেগমের শরীরে অন্তত ৫০টি স্থানে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কোথাও অভিযোগ বা মামলা করলে সেলিনাকে তুলে নেয়ার হুমকি দেয় মন্টুর লোকজন অভিযোগ করেন হাওয়া। ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, হাওয়া বেগম সোমবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরেজমিনে আমি রাতেই গিয়েছিলাম। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন