মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের প্রবাসী মো.ইয়াকুব আলীকে হত্যার ঘটনার দীর্ঘ দেড় বছর পর তাঁর শ্যালক জানে আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃত জানে আলম উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক। সে উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে এবং মনোহরগঞ্জ বাজারের রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার, পুলিশ পরিদর্শক মো.ইফতিয়ার উদ্দিন দৈনিক ইনকিলাবকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নিখোঁজের ৭দিন পর ২০১৭ সালের ২ মার্চ উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে ঝলম-ডুমুরিয়া গ্রামের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতিয়া নদী থেকে ওমান ফেরত প্রবাসী ইয়াকুব আলীর (৫০) অর্ধগলিত বস্তাবন্ধি লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। ইয়াকুব আলী উপজেলার উত্তর হাওলা গ্রামের মিজি বাড়ির মৃত.আবদুর রশিদের ছেলে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের ছেলে মো. সোহাগ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশের তদন্তের মামলাটির কোন অগ্রগতি ছিলো না। পরে কুমিল্লার আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে মামলাটি পিবিআই কুমিল্লাকে তদন্তের নিদের্শ প্রদান করেন।

পিবিআই সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআইতে আসার পর থেকে বাদী পক্ষের লোকদের কাছ থেকে তেমন কোন সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছিল না। তারা মামলাটি নিয়ে তেমন আন্তরিক ছিলেন না, বলতে গেলে এই হত্যার বিচার হোক এমন প্রত্যাশাও করতেন না। পরে কুমিল্লা জেলা পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.ওসমান গনির নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক মো.ইফতিয়ার উদ্দিন গোপনীয়তার সঙ্গে ব্যাপকভাবে তদন্ত শুরু করেন। এতে হত্যার পেছনে বিভিন্ন কারন জানতে পারেন তিনি। সর্বশেষ গত সোমবার বিকেলে মনোহরগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ইয়াকুব আলীর শ্যালক জানে আলমকে আটক পিবিআইয়ের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জানে আলমকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই কুমিল্লার, পরিদর্শক মো.ইফতিয়ার উদ্দিন ইনকিলাবকে বলেন, আমরা তদন্তের মাধ্যমে জানতে পারি প্রবাসী ইয়াকুব আলীর উপার্জিত অর্থ জানে আলমের কাছে ছিলো। অর্থের পরিমানও অনেক। জানে আলম তার টাকা আতসাত করতে চেয়েছিলো। এনিয়ে শালা-দুলা ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আমাদের ধারণা, ওই টাকার জন্যই জানে আলম প্রবাসী ইয়াকুবকে হত্যার পর লাশ গুমের জন্য বস্তাবন্ধি করে নদীতে ফেলে দেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন