নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরা এলাকা থেকে রবিবার রাতে (৩০ সেপ্টেম্বর) নারীসহ ৩ জঙ্গিকে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জের র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও উগ্রবাদী বই এবং লিফলেট উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডিং অফিসার রাসেল আহমেদ কবির এ তথ্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, রোববার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানী নগর ও ঢাকা ডেমরার পশ্চিম হাজীনগর এলাকা থেকে বরিশালের কাউনিয়া এলাকার মো. রেজাউল করিম (২৮), বরিশালের বাকেরগঞ্জের মো. জহিরুল ইসলাম পলাশ ও চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের শাহনাজ আক্তার সাদিকা (২৫) সাদিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের মধ্যে রেজাউল করিম ও পলাশকে মাদানীনগর এবং সাদিকাকে ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহনাজ আক্তার সাদিকা স্বীকার করেছে, ২০১৬ সালে জেএমবির নারী শাখায় যোগদান করে। জেএমবি ও অন্যান্য উগ্রবাদী সংগঠনের গ্রেফতারকৃত সদস্যদের মহিলা আত্মীয় স্বজনদের টার্গেট করে জেএমবিতে অর্ন্তভুক্ত করছে।
এছাড়াও সে ফেইসবুকে গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে জেএমবির অর্থ সংগ্রহ করে সাংগঠনিক কাজ করতো। মো. রেজাউল করিম স্বীকার করেছে, সে ২০১৫ সালে জেএমবিতে যোগদান করে। সে জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। এছাড়া মো. জহিরুল ইসলাম পলাশ ২০১৬ সালে জেএমবিতে যোগদান করে। সে জেএমবির দাওয়াতী শাখার সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ২টি গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল, একটি চাকু, বিপুল পরিমান জঙ্গীবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে র্যাব-১১ বিশেষ অভিযান শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় নিয়মিতই এই বাহিনীটির জঙ্গী বিরোধী কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। র্যব-১১ জঙ্গীবিরোধী সবচেয়ে বড় অভিযানটি পরিচালিত ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ডে। ওই অভিযানে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে ৫ জঙ্গী এবং কুমিল্লার গৌরিপুর থেকে আরো ৩ জঙ্গিকে আটক করে। র্যাব সূত্রে যানাযায় ২০১৭র ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত তাদের হাতে ধরা পড়েছে ৯৯ জঙ্গী। তাদের এই জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন