সাংবাদিক মারধর, ছিনতাই ও ছাত্রী লাঞ্ছনার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কৃত ৪ ছাত্রলীগকর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাস জুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গত ২৪ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলের পাশে বহিরাগত যুগলকে মারধর, ছিনতাইয়ের চেষ্টা, হেনস্তা করা এবং এসব কার্যকলাপে বাধা দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২জন শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনিবার্য কারণে এই ৪ ছাত্রের বহিষ্কারাদেশ স্থগিত করেছেন।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে জানা যায় প্রক্টরিয়াল বিডির প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ৭ ছাত্রলীগকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
তার কিছুক্ষণ পর আবার আরেক অফিস আদেশ থেকে জানানো হয় ৭ জনকে নয় ৪জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ৪ ছাত্রলীগ কর্মী হলেন- বাংলা বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শুভাশীষ ঘোষ, লোক প্রশাসন বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের ইয়া রাফিউ শিকদার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. সোহেল রানা। এরা সবাই শহীদ রফিক-জব্বার হলের আবাসিক ছাত্র।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। উপাচার্য তার নির্বাহী ক্ষমতাবলে এ বহিস্কারাদেশ স্থগিত করেছেন। সুতরাং এ বিষয়ে তিনিই ভালো বলতে পারবেন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে কয়েকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
প্র্রসঙ্গত, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুল এলাকায় দুই বহিরাগতকে মারধর করে মোবাইল-মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে মাহমুদুল হক সোহাগকে মারধর করে ছাত্রলীগের একদল কর্মী। এসময় তাকে বাঁচাতে এলে তার এক সহপাঠীও মারধরের শিকার হন। পরে সোহাগ এবং ঐ ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাহী ক্ষমতাবলে ওই চার শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন