সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

টেকসই গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের অন্তরায়

এস. এম. নজরুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

গণতন্ত্রের মূল কথা হলো-সার্বজনীনতা। অর্থাৎ দেশের প্রাপ্তবয়স্ক বৈধ নাগরিকগণ নিজেদের শাসক নির্বাচন করবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। সাধারণ জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ না পেলেও তারা এর মাধ্যমে নিজেদের পরিচালক নিজেরা নির্বাচিত করার অধিকার লাভ করে আত্মতৃপ্তি লাভ করে এবং শাসকশ্রেণির বৈধতা জনমনে প্রতিষ্ঠিত হয়। পক্ষান্তরে জনগণ যদি নিজেদের ইচ্ছামতো শাসক নির্বাচন করতে না পারে, তারা যদি শঠতার আশ্রয় নিয়ে নিজেরাই নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা দেয়, তবে জনমানসের নিকট তারা বৈধতা পায় না। এতে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি হয় এবং দেশে সংঘাত-সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য বর্তমানে প্রচলিত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার বৈধতার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। কেননা নির্বাচন ব্যতীত গণতন্ত্র হয় না-সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যতীত সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যায় না। গায়ের জোরে স্বৈরতন্ত্র, ফ্যাসিবাদ বা রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়।
টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধাসমূহ:
টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু নির্বাচন প্রধান শর্ত হলেও একমাত্র শর্ত নয়। সুষ্ঠু নির্বাচন ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আরো কিছু অপরিহার্য শর্ত রয়েছে। উক্ত শর্তগুলো নিম্নরূপ:
১. জাতীয় লক্ষ্য নির্ধারিত না হওয়া : Aim of Nation থাকাটা একটি দেশের অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যাবশ্যক। পৃথিবীর যেসব দেশ বর্তমানে নেতৃত্বের আসনে রয়েছে তাদের সুযোগ্য নেতৃবৃন্দ ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ফলে সেসব দেশে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন প্রত্যেকে নিজ নিজ নীতি-কৌশল অনুযায়ী দেশ জাতিকে লক্ষ্য পানে এগিয়ে নিয়ে যায়। এ জন্য সেসব দেশের পররাষ্ট্রনীতি সব সময় কম-বেশি একইরূপ থাকে। লক্ষ্য-আদর্শহীন রাজনীতিকরা ক্ষমতার মসনদকে অর্থ-প্রতিপত্তি অর্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে শাসকশ্রেণি লাভবান হয় এবং শাসিতরা শোষিত-নির্যাতিত হয়। এসকল রাজনীতিক ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশকে অন্তহীন সংঘাতের দিকে নিয়ে যায়।
২. রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকা: দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চালিকাশক্তি হলো রাজনৈতিক দলব্যবস্থা। বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ব্যতীত সার্বজনীন ভোটাধিকারের কোনো মূল্য নেই। এ জন্য একটি দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহের আভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নির্বাচন ও পরিচালনায় যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না থাকে তবে উক্তরূপ দল ক্ষমতাসীন হলে দেশকে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে, স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদের দিকে নিয়ে যাবে।
৩. নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা: পার্লামেন্টারী পদ্ধতির গণতন্ত্রে সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা শাসকদলকে স্বৈরাচারী হওয়ার সুযোগ করে দেয়। তবে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসনব্যবস্থায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পদস্খলনের সম্ভাবনা কম থাকে। পার্লামেন্টে শাসকদলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা কিভাবে দেশ-জাতি ও গণতন্ত্রকে বিপনড়ব করে তা আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রত্যক্ষ করেছি। সিকিমের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি কিভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নেতা লেন্দুপ দর্জি নিজ দেশকে
সাম্রাজ্যবাদী ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।
৪. দলীয় প্রধান ও সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান এক ব্যক্তি হওয়া: এরূপ ক্ষেত্রে উক্ত সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের হাতে সকল ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত হয়। সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে পুঞ্জিভ‚ত হলে সে দেশে স্বৈরতন্ত্র বা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হতে পারে এবং সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে যাবে। প্রমে সরকারি দলের গণতন্ত্র চর্চা ব্যাহত হবে অতঃপর দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ভঙ্গুর হয়ে যাবে। এ জন্যই দেখা যায়, সেসব দেশেই টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যেখানে দলীয় প্রধান রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান হওয়ার পর দলের দায়িত্ব ভিন্ন ব্যক্তির হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে নতুন নতুন নেতৃত্বের আবির্ভাব হয় এবং দেশ অধিকতর স্থিতিশীল ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
৫. মন্ত্রী ও দলনেতা এক ব্যক্তি হওয়া: এরূপ হলে মন্ত্রী যে এলাকার দলনেতা থাকেন সেখানে গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত হয়। তিনি নিজ দলে এবং স্থানীয় সরকার পরিচালনায় হস্তক্ষেপ করেন এবং আর্থিক দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়ার সুযোগ পান। সে ক্ষেত্রে রাজনীতিকরা রাজনীতির চেয়ে অর্থ উপার্জনের দিকে বেশি ঝঁেুক পড়েন। পক্ষান্তরে মন্ত্রী হওয়ার পর যদি দলীয় দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তবে নতুন দলীয় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী দেশের জন্য কাজ করার সময় পাবেন এবং দুর্নীতি থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। ফলে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত থাকবে।
৬. সমাজবিরোধী ও দুর্নীতিবাজদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা: সমাজবিরোধী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের নেতা হলে দেশে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, পেশীশক্তির ব্যবহার, কালো টাকার ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এক পর্যায়ে দেশ ও দেশের রাজনীতি রাজনীতিকদের হাত থেকে উক্ত দুর্বৃত্তদের হাতে চলে যাবে।
৭. দলীয় পদ ও নমিনেশন ক্রয়-বিক্রয় করা: দলীয় আদর্শ ধারণ না করে এবং দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার না করে কেউ যদি অর্থের বিনিময়ে দলীয় পদ ক্রয় করতে পারে, তবে সে উক্ত পদ ব্যবহার করে অধিকতর অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে কাজ করবে, দল ও দেশের স্বার্থ তার নিকট গৌণ হয়ে যাবে। অন্যদিকে দলীয় আদর্শে উদ্বুদ্ধ সত্যিকারের রাজনীতিক হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে এবং দলে ও দেশে রাজনৈতিক স্থবিরতা নেমে আসবে। নমিনেশন ক্রয় বাবদ অর্থের বহু গুণ জনগণ থেকে আদায় করবে।
৮. বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক হত্যাকান্ড: মুসলিম বিশ্বের কোনো দেশে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, জনপ্রিয় দল ও ব্যক্তি ক্ষমতাসীন হোক তা সাম্রাজ্যবাদীরা চায় না। কেননা টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে মুসলিম বিশ্ব এগিয়ে যাবে, শক্তিশালী হবে এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে। এ জন্যই দেখা গেছে, আলজেরিয়া, তুরঙ্ক, তিউনিসিয়া, ফিলিস্তিন, মিশর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করে টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকে অসম্ভব করে তুলছে। এসব দেশের সাম্রাজ্যবাদের এজেন্টগণ সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থে স্বদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকে বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করে দেশে সংঘর্ষেও পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যাতে সাম্রাজ্যবাদ সরাসরি হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়।
৯. বংশানুক্রমিকভাবে ক্ষমতায় থাকার মানসিকতা: বর্তমানে উনড়বয়নশীল বিশ্বের দেশে দেশে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বংশানুক্রমিকভাবে ক্ষমতায় থাকার মানসিকতায় নিজ দেশে যোগ্য রাজনীতিকের প্রতিষ্ঠা ও টেকসই গণতন্ত্রের বিকাশে বাধার সৃষ্টি করছে।
১০. একই ব্যক্তির আজীবন ক্ষমতার শীর্ষে থাকার পদ্ধতি: একটি দেশের সংবিধান যদি সর্বোচ্চ সরকারি পদে একই ব্যক্তির আজীবন ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা রাখে তবে সে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের বিকাশ হয় না। কেননা সে ক্ষেত্রে শীর্ষপদে আসীন উক্ত ব্যক্তি স্বীয় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে যোগ্য লোকদের চেয়ে চাটুকার ও অযোগ্য লোকদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ফলে দেশে ও দলে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি হয় না। এমতাবস্থায় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে বা দুর্বল করা হয়-তদুপরি উক্ত শীর্ষ
ব্যক্তির মৃত্যুর পর দেশটি নেতৃত্ব সংকটে নিমজ্জিত হয়ে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার ঝঁিুকতে পতিত হয়। এ জন্য কোনো ব্যক্তি যাতে ১০-১৫ বছরের বেশি শীর্ষ পদে থাকতে না পারে সে লক্ষ্যে সংবিধানে প্রয়োজনীয় আইন থাকা প্রয়োজন।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধাসমূহ
১. সর্বস্তরে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ ও আঞ্চলিকীকরণ: শাসকদল যদি আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগে ব্যক্তি ও দলের স্বার্থে দলীয়করণ, আত্মীয়করণ ও আঞ্চলিকীকরণ করে তখন সরকার ও প্রশাসন বেপরোয়া হয়ে উঠে। এমতাবস্থায় এ সকল নীতি-নৈতিকতাহীন রাজনীতিক, প্রশাসক ও বিচারকরা রাজনীতির পরিবর্তে দুর্নীতি-লুটপাট-অত্যাচার-নির্যাতনে লিপ্ত হয়। তাদের অপকর্মের ফিরিস্তি যতই দীর্ঘ হয়-ততই তারা সকল বিরোধী দল ও মতসহ মিডিয়াকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। তাদের অপরাধবোধ এ পর্যায়ে পৌঁছে যে, তারা তখন জনমতকে, সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। এ পর্যায়ে তারা নির্বাচন বানচাল অথবা একতরফা নির্বাচনের পথে অগ্রসর হয়। তারা নিশ্চিতভাবে ধরে নেয় যে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে এবং সকল অপকর্মের বিচারের সম্মুখীন হবে।
২. পরিকল্পিত ও সাজানো প্রশাসন: সরকারের দায়িত্ব পালনকালে সরকারি দল যদি অতিরিক্ত দুর্নীতি ও অপকর্ম করে তবে উক্ত সরকার পরবর্তী নির্বাচনের আগে প্রশাসনকে এমনভাবে বিন্যস্ত করে, যাতে উক্ত প্রশাসন নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিয়ে পুনরায় ক্ষমতাসীনদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করে।
৩. শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অনুপস্থিতি: দুর্বলচিত্ত, দুর্নীতিবাজ ও দলবাজ লোকের সমন্বয়ে যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় তবে তাদের দ্বারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। নিজেদের ব্যক্তিত্বহীনতা ও দুর্বলতার কারণে তারা তাদের নিয়োগকর্তাকে খুশী করার কাজে ব্যস্ত থাকে।
৪. গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসমূহের অগণতান্ত্রিক মানসিকতা: একটি দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের অভ্যন্তরে যদি গণতন্ত্র চর্চা না থাকে তবে সে দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ গড়ে উঠে না। সে ক্ষেত্রে উক্ত রাজনীতিক ও রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচনকে ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই হিসেবে সাব্যস্ত করে। তাদের দৃষ্টিতে যুদ্ধে জেতার জন্য সকল কর্ম-অপকর্ম বৈধ। নেতৃবৃন্দের এরূপ মানসিকতা জনগণের মধ্যে বিস্তৃতি ঘটে, তখন একটি বিশৃঙ্খল জনগোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্থ হয়।
৫. রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ও সন্ত্রাস: একটি দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দলসমূহ যদি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে সমাজবিরোধী, কালো টাকার মালিক ও সন্ত্রাসীদের পদায়ন করে তবে উক্ত দলসমূহ দুর্বৃত্তায়িত হয়ে যায়। তখন সে দল বা দলসমূহ নামে রাজনৈতিক দল হলেও বাস্তবে চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ, ধাপ্পাবাজ ও সমাজবিরোধীদেও সিন্ডিকেটে পরিণত হয়। সে ক্ষেত্রে পেশীশক্তিই হয়ে পড়ে উক্ত রাজনৈতিক দলসমূহের নিয়ামক শক্তি। দেশে এরূপ দল শক্তি অর্জন করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয় না।
৬. মেধাবী, সৎ, দক্ষ ও নিরপেক্ষ প্রশাসনের অনুপস্থিতি: একটি দেশের আইন বিভাগ যদি গঠিত হয় দলীয়করণ, আত্মীয়করণ ও আঞ্চলিকীকরণের মাধ্যমে এবং পিএসসি ও বিচার বিভাগও যদি গঠিত হয় একইভাবে তবে উক্ত দেশের প্রশাসন গঠিত হয় অযোগ্য, অসৎ, অদক্ষ ও দলবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে। এরূপ প্রশাসন তখন আর দেশের মানুষের প্রশাসন থাকে না তারা হয়ে পড়ে দলীয় প্রশাসন। উক্ত রূপ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অক্ষম। ফলে এরা জাতিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম নয়।
৭. Level Playing field বা সমসুযোগ না থাকা: প্রতিদ্ব›দ্বী দলসমূহের জন্য যদি সমসুযোগের ব্যবস্থা করা না যায় তবে সে ক্ষেত্রে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয় না।
লেখক : মাসিক ইতিহাস, অন্বেষা পত্রিকার সম্পাদক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন