পদ্মা সেতু রেল সংযোগের কাজের উদ্বোধনসহ পদ্মা সেতু অগ্রগতি দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদারীপুর আসছেন আজ। মাদারীপুরের শিবচরের কাঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটের জনসভায় লক্ষাধিক মানুষের জনসমুদ্র স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে। সাজ সাজ রব সর্বত্র।
গতকাল শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সফরের প্রস্তুতি দেখতে জেলার শিবচরের কাঠালবাড়ি ঘাটে আসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলমন্ত্রী মুজিবল হক, আওয়ামীলীগ নেতা নূর ই আলম চৌধুরী এমপি, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন মোল্লা, সিনিয়র সহসভাপতি মুনির চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সামসুদ্দিন খান, সাধারন সম্পাদক ডাঃ মোঃ সেলিম প্রমুখ।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হলে জিডিপি দেড় থেেেক ২ ভাগ বেড়ে যাবে। এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। সারা বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। পদ্মা সেতু হবে রেল ও সড়ক অর্থ্যাৎ ডাবল ডেকার সেতু। রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, বিশ^ব্যাংক সরে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর অসীম সাহসিকতার কারনে আজ পদ্মা সেতু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চল রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা থেকে শিবচর-ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত রেল লাইন হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সারাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।
উল্লেখ্য, আবহাওয়াজনিত কারনে ১৩ অক্টোবরের পরিবর্তে ১৪ অক্টোবর রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন। এদিন তিনি শরিয়তপুরের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করবেন (জাজিরা প্রান্ত) এবং পদ্মা সেতুর অগ্রগতি পরিদর্শন করবেন। বেলা ৩টায় মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে ২/৩দিন ধরে বৃষ্টির মাঝেই চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। চারিদিকে সাজ সাজ রব। উৎসবের রংয়ে সেজেছে পদ্মার পাড়। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে জনসভাস্থল। ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে দলীয় নেতাকমীসহ সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও তৎপরতা শুরু হয়েছে। জনসভাস্থলে প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটাতে কাজ করছে নেতাকর্মীরা। দলীয় নেতা কর্মীসহ পদ্মা পাড় ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বুনছে নতুন দিনের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতুতে আগমনে বৈল্পবিক পরিবর্তন ঘটবে এমনটাই আশা দক্ষিণাঞ্চলবাসির।
কাঁঠালবাড়ির লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট কাওড়াকান্দিতে স্থানান্তর
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য কাঁঠালবাড়ি ঘাটের লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট পুরাতন কাওড়াকান্দি ঘাটে স্থানান্তরিত হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোর ৬টা থেকে সকল লঞ্চ ও স্পিডবোট কাওড়াকান্দিতে নেয়া হয়েছে। আজ রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়ার পরিবর্তে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুট হয়ে সকল লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল করবে। যাত্রী সাধারণের চলাচলে যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য কাওড়াকান্দির পুরাতন ঘাট ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, শনিবার ভোর থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট কাওড়াকান্দিতে নেয়া হচ্ছে। শুক্রবার সারাদিন যাত্রীদের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে লঞ্চ ও স্পিডবোটের যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ি ঘাটে না আসেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. সোনাহর আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল কাঁঠালবাড়ি ঘাটে। তাই সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সাধারণ যাত্রীদের পারাপারের জন্য শনিবার সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাট দুটি কাওড়াকান্দিতে নেয়া হয়েছে। ###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন