উত্তর: “আল্লাহর এ সৃষ্টি জুড়ে এখন মানবাত্মার গভীর ক্রন্দন। যাবো না এ ধরায়। কি হবে মুক্তির উপায় ফিরে আসিবার পথ। না হলে মানব জনম হবে বরবাদ।” আল্লাহ বলেন, “হে নবী! আপনাকে প্রেরণ করেছি বিশ্বের শান্তি, কল্যাণ, ও মানুষের মুক্তির পথ প্রদর্শক হিসেবে।” (আল-কোরআন)
তাই তিনি বিশ্ব নবী, সর্ব মানুষের নব্ ীতাই আজ আমাদের জানতে হবে রাসুল নামে কে এল ঐ মদীনায়। যার নাম ও প্রশংসা বিশ্বের সব ধর্ম গ্রন্থে দেখা যায়। ডক্টর বেদ প্রকাশ উপাধ্যায় “বেদ ও পুরানে হযরত মোহাম্মদ বই-এ এটা প্রকাশ করেছেন। মহর্ষি ব্যাসদেব, মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তার ভবিষ্যপুরান গ্রন্থে। ঈসা নবী-তার সম্প্রদায়কে ‘আহ্মদ’ নামে এক রাসূল, উনার পরে আসার সুসংবাদ দিয়েছেন। যিনি উর্দ্ধ জগতে ‘আহ্মদ’, পৃথিবীতে ‘মোহাম্মদ’, ভূ-পৃষ্টের নীচের জগতে ‘মাহমুদ’ নামে আবির্ভূত। ত্রি-জগতে তিন নামে যার আবির্ভাব তাঁকে কেবল বই, কিতাব পড়ে জানা যাবে কি? তাঁর আদর্শ ছিল অসাম্প্রদায়িক ও মানবীয়। তিনি বলেছেন, অমুসলিমদের রক্ত আমাদের নিজেদের রক্তের মত নিরাপত্তার দাবিদার। আর তাদের ধন-সম্পদ আমাদের নিজেদের ধন-সম্পদের মত সংরক্ষণ যোগ্য”।
পবিত্র ১২-ই রবিঃ আউঃ ঈদে মিলাদুন্নবী তাঁর পবিত্র জন্ম দিন। তাই ১২-ই-রবিঃ আউঃ মুসলিম মিল্লাতের পরম ধন। বিখ্যাত সাধক হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) বলেছেনঃ ফেরেশতাদের ঈদ দু’টি লাইলাতুল বারআত ও লাইলাতুল ক্বদর। মোমেনদের ঈদ দু’টি ঈদুল ফিত্র, ঈদুল আযহা। আল্লাহর ঈদ হলো-১২-ই-রবিঃ আউঃ। ঐ দিন আল্লাহতায়ালা আসমান জমিনসহ সমগ্র জাহানে ঈদ ও খুশী উদযাপনের ব্যবস্থা করেন।’ তাই তাঁর এক উপাধি “রাহমাতুল্লিল-আলামিন’-বিশ্বের জন্য করুণার আধার। আল্লাহ তার অনন্ত প্রেম নিয়ে ছিলেন অপ্রকাশ্য। নিজকে প্রকাশের জন্য তার প্রেমের নূর(আলো) হতে সৃষ্টি করলেন নূরে মোহাম্মদ (সাঃ) কে। এরপর একদিন মোহাম্মদ (সাঃ) এর নূর হতে সমগ্র জগৎ সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা-নবীর প্রতি দরদ ও সালাম পাঠ করেন, বিশ্বাসীদেরও পাঠ করতে বলেছেন।” আল্লাহ নিজে সে কাজ করেন তার চেয়ে উত্তম আর কিছু কি হতে পারে?
উত্তর দিচ্ছেন: নাজীর আহ্মদ জীবন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন