অন্ত:কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। কয়েকটি অংশ বিভক্ত হয়ে পড়েছে জবি শাখা ছাত্রদলের কর্মীরা। আবার কোন কোন নেতা ছাত্রলীগের সঙ্গে আঁতাত করে চলছে বলেও অভিযোগও উঠেছে। স¤প্রতি প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে জটিল আকার ধারণ করে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি যখন সব সহযোগী সংগঠনের বিভক্তি দুর করে দলকে সু-সংঘঠিত করার চেষ্টা করছে। এমন সময় নিজেদের মধ্যে দ্ব›দ্ব দু:খজনক বলে আখ্যায়িত করে এসব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংসদ। একই সঙ্গে অন্ত:কোন্দলের রহস্য উদঘাটনে বিশ্বস্তদের দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের হাইকমান্ড।
২০১৪ সালের ১৪ই অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি এবং আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরপরই ওই কমিটি প্রত্যাখান করে ছাত্রদলের সাবেক এজকন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমান জবি ছাত্রদলের সভাপতি বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তারা সরকারের প্রশাসন এবং ছাত্রলীগের সাথে আঁতাত করে। দলের হাই কমান্ডের ঘোষিত কমিটি টিকিয়ে রাখতে এবং ছাত্র দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কমিটির পক্ষে অবস্থান নেন ওমর ফারুক কাওসার। এসময় বিদ্রোহীদের ছোয়া বোমা গুরুতর আহত হন তিনি। পরবর্তীতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ জবি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করলে সেখানে বিদ্রোহী এবং রফিকুল ইসলাম রফিককে সভাপতি এবং দলের আসিফ রহমান বিপ্লবকে সাধারন সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করে। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাকর্মীরা এই কমিটি প্রত্যাখান করে তারা পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা রফিক-বিপ্লবকে বাদ দিয়ে পাঁচ ভাগে বিভক্ত হয়ে দলের বিভিন্ন কার্যক্রমে উপস্থিত হতো। আর এই পাঁচ ভাগের একটি বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করতো তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে অবস্থান নেয় ওমর ফারুক কাওসার।
বর্তমান কমিটি ৩ বছর পার করলেও তারা কমিটি পূর্নাঙ্গ করার কোন উদ্যেগ না নেয়াতে পদ বিঞ্চিত নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় জবি ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বাকবিতিন্ডা হয়। এ ঘটনায় জের ধরে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সংসদের প্রেস রিলিজ দিয়ে কোন প্রকার যাচাই-বাছাই এবং কারন দর্শানো নোটিশ না দিয়েই বর্তমান কমিটির জবি ছাত্র দলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম মিলাদ উদ্দিন ভুঁইয়া এবং এ বি এম সুজন মোল্লাসহ চারজনকে বহিষ্কার করে। জবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে। এসময় তারা ওমর ফারুক কাওসারসহ সকলের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার এবং বর্তমান কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি দেয়ার জোর দাবী জানায়। বহিষ্কার প্রত্যাহার করা না হলে দলের কর্মসূচী অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন কর্মীরা। ওমর ফারুক কাসার বলেন, বহিষ্কারের আগে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য নোটিশ্ও করা হয়নি। জবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, কাওসারের ইন্দনে তার কর্মীরা রফিকের উপর হামলা করেছে। ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটি বহিষ্কৃতদের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে তাদের বহিষ্কার করেছে বলে দাবী করেন তিনি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন