চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা
পাবনার ফরিদপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। এলাকার মানুষেরা দারুণভাবে চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ আলী সপ্তাহে ২/১ দিন অফিস করেন। বিশেষ প্রয়োজনে ফাইলপত্র নিয়ে তার বাসা পাবনায় যেতে হয়। এছাড়া কর্তব্যরত ডাক্তাররাও ঠিকমত অফিস করেন না। দীর্ঘদিন ধরে ১৯টি পদও খালি রয়েছে। যার ফলে এলাকার মানুষেরা স্বাস্থ্য সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে অহরহ। প্রধান সহকারির পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। নাই হিসাব রক্ষক। ক্যার্ডিওগ্রাফির পদ খালি। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ৪টি পদ থাকলেও একজনও কর্মরত নাই। কম্পান্ডার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ৫জন স্বাস্থ্য সহকারি, টিকিট ক্লার্ক, এমএলএসএস, কুক, নিরাপত্তা কর্মী ৪জনের পদ শূন্য রয়েছে। হাসপাতালে বিরাজ করছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নোংরা আর দুর্গন্ধ সর্বত্র। এক্সরেসহ প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টে কিছু কাজ হাসপাতালে করা গেলেও মেডিকেল অফিসাররা প্রাইভেট প্যাথলজিতে পাঠান বলে অভিযোগ রয়েছে। ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের বাসা থাকলেও তাদের অধিকাংশ বাসা খালি। তারা অধিকাংশই বাড়ি থেকে অফিস করেন। বাসাগুলিও রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের এম্বুলেন্সটিও প্রায় ২ মাস ধরে পড়ে আছে। হাসপাতাল এলাকায় রাতে নেশাখোরদের দখলে চলে যায়। দূর থেকে রোগীরা এসে সেবা না পেয়েই চলে যায়। সেখানে কোন রকম ওষুধ পাওয়া যায় না। শিশুদের টিকা নেয়ার জন্য হাসপাতালে এসে কোন রকম টিকা পাওয়া যায় না বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন