কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফলকে চমৎকার সফলতা বলে টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার দিনশেষে রাতে তিনি এ নিয়ে প্রথম টুইট করেন। তার দল রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। তবে হারিয়েছে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ। একে তিনি চমৎকার সফলতা হিসেবে দেখছেন। এর কারণও আছে। কারণ, এর আগের নির্বাচনগুলোতে বেশির ভাগ সময়ই ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের রিপাবলিকানরা সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। একে তিনি বড় সফলতা মনে করতেই পারেন। বিভিন্ন মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে ডেমোক্রেটরা। সিনেট ধরে রাখছে রিপাবলিকারাই। একে সুনামি নয়, ক্রমবর্ধমান এক জোয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিবিসির উত্তর আমেরিকা বিষয়ক রিপোর্টার অ্যান্থনি জারচার। তিনি লিখেছেন, এটা হলো দুটি চেম্বারের কাহিনী। ডেমোক্রেটদের দখলে থাকা সিনেটের দরজা আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এতে তিনি নির্বাহী ও বিচার বিভাগীয় নিয়োগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে নিজের খেয়ালখুশি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো তার দল কতটুকু বেশি এগিয়ে আছে। অন্যদিকে প্রতিনিধি পরিষদের কাহিনী ভিন্ন। সুশিক্ষিত যেসব এলাকা দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকানদের ভোট দিয়ে এসেছে সেখানে সুবিধা পেয়েছে ডেমোক্রেটরা। তাদের অনেকেই ভোট দিয়েছেন রিপাবলিকানদের। কিন্তু অনেকে ট্রাম্পের নীতি ও বাগাড়ম্বরতাকে সহজে নিতে পারেন নি। ফলে একের পর এক সেসব আসন পেয়েছে ডেমোক্রেটরা। ভার্জিনিয়া, ইলিনয়, ফ্লোরিডার মতো জায়গায় উদারপন্থি রিপাবলিকানরা হেরেছেন। অন্যদিকে কলোরাডো, নিউ জার্সি, কানসাস, পেনসিলভিয়া, টেক্সাস ও নিউ ইয়র্কের মতো জায়গাগুলোতে বিজয়ী হতে যাচ্ছে ডেমোক্রেটরা। শুনতে এটাকে সুনামির মতো মনে হবে না। তবে ডেমোক্রেটদের সামনে আশার সঞ্চার করেছে। তা হলো, এক জোয়ার। এই জোয়ার তাদেরকে আট বছরের মধ্যে প্রথম প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ পেতে সাহায্য করছে। এর ফলে ট্রাম্পের আইনগত অনেক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতি অনেকটা গভীরে শিকড় গাড়া। সেখানে দুই বছর অন্ধকারে থাকার পর ডেমোক্রেটরা আলোর মুখ দেখছে। তারা লড়াইয়ে ফিরে এসেছে। রয়টার্স, বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন