জাতীয় তাফসীর পরিষদ
জাতীয় তাফসীর পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মহাসচিব হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, অধ্যক্ষ মুফতী হাফেজ মাওলানা বাকীবিলাহ, মুফতি শরীফউলাহ সামদানী ও হাফেজ মাওলানা নাযির আহমদ শিবলী, কেন্দ্রীয় নেতা মুফতী ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মাওলানা হাফেজ মুহিউদ্দীন জিলানী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইদানিং কতিপয় ইহুদি-নাসারাদের দালাল জনৈক আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফসহ অন্যান্যরা আলাহর ওলীদের প্রতি অশালীন ভাষা প্রয়োগ করার মতো দুঃসাহস দেখাচ্ছে। বিবৃতিতে তারা আলাহর ওলী হযরত শাহ জালাল ও হযরত শাহপরান রহ., খাজা মঈনউদ্দিন চিশতী রহ.সহ পীর মাখায়েখদের সম্পর্কে অত্যন্ত জঘন্য ধরণের গালিগালাজ উচ্চারণ করছে যা মুখে নেয়াও অযোগ্য। ভ্রান্ত আকিদাপন্থিসহ লা মাযহাবী সম্প্রদায় ইদানিং কওমী মাদরাসা, তাবলিগ এবং সর্বোপরি পীর মাখায়েখদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে যাচ্ছে যা চরম আপত্তিজনক। এধরণের কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
পীর সাহেব চরমোনাই
ভবিষ্যতে যেন কেউ ইসলামের বিরুদ্ধে এবং ইসলামী সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে আঘাত করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। এক বিবৃতিতে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চক্রান্তের প্রতিবাদে সারাদেশে যারা আন্দোলন করেছেন বিশেষ করে ওলামায়ে কেরাম, ইসলামী নেতৃবৃন্দ, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক সর্বোপরি ঈমানদার জনতা এবং ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদেরসহ দেশবাসীকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হলে এভাবেই সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করে দিতে হবে। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের সেন্টিমেন্টকে বুঝে যে ঐতিহাসিক রায় দেয়া হয়েছে তাতে দেশ এক ভয়াবহ অবস্থা থেকে রক্ষা পেল এবং ইসলামের বিজয় সুচিত হলো।
রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ২৮ বছর আগের একটি রিট আজ হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যাওয়ায় এবং সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকায় শুকরিয়া আদায় করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে দেশের ধর্মপ্রাণ জনতার বিজয় হয়েছে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণিত হয়েছে, সবার প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটছে। তিনি বলেন, সংবিধানে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। এদেশের ঐতিহ্য অনুযায়ী সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ স্ব স্ব অধিকার নিয়ে শান্তিতে অবস্থান করছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, স্বাধীনতার সুদীর্ঘ ৪৫ বছর পর এসে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা না থাকা নিয়ে রিট হয়, সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দেয়া হবে এ জন্য এদেশের ধর্মপ্রাণ মুক্তিযোদ্ধারা ’৭১ সালে যুদ্ধ করেনি। স্বাধীনতর ৪৫ বছরেও দেশবাসী স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ পায়নি। বর্তমান সময়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত হচ্ছে।
সম্প্রতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর কদমতলী থানা শাখার মেরাজনগর ৯নং ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে টোকিও গার্ডেনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্র্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। আলহাজ মাওলানা মনিরুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ দায়িত্বশীল পরিচিতি সভা ও স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কদমতলী থানা সেক্রেটারি মাওলানা ক্বারী বাছির উদ্দিন মাহমুদ, আলহাজ ঈসমাইল হোসেন, ইসলামী নির্মাণ শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, আলহাজ ইমাম হোসেন পাটোয়ারী, মাস্টার আবদুল জলিল, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, ইউনুছ আলী খান নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন