শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন : চট্টগ্রামের জসনে জুলুসে লাখ লাখ মানুষ

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৩৯ পিএম

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপনে মুখরিত রয়েছে বারো আউলিয়ার পূণ্যভূমি এবং ‘বা’বুল ইসলাম’ (ইসলামের প্রবেশদ্বার) খ্যাত সমগ্র চট্টগ্রাম। আজ বুধবার মহান এই দিবসটির প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহাসিক জসনে জুলুস। নবীপ্রেমী লাখ লাখ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে জসনে জুলুসের বর্ণাঢ্য র‌্যালি বন্দরনগরীর গুরুত্বপূর্ণ সকল রাজপথ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে এ আয়োজন প্রতিবছরের মতো এবারও ছিল বর্ণিল।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ বছর অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪৭তম জশনে জুলুস। সকল শ্রেণী ও পেশার লাখ লাখ তৌহিদী জনতার এই জসনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন হযরত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামিদ শাহ।
‘নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবর’, ‘নারায়ে রেসালাত ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)’-সহ বিভিন্ন শ্লোগানে সমগ্র মহানগরীকে সকাল থেকেই মুখরিত করে তোলেন তৌহিদী নবীপ্রেমী জনতা। তাদের হাতে হাতে ছিল আল্লাহু আকবর এবং চাঁদ-তারা খচিত সবুজ পতাকা, মুখে ছিল নাতে রাসুল (সাঃ)। জসনে উপলক্ষে বন্দরনগরী জুড়ে এক পুত-পবিত্রময় পরিবেশ তৈরি হয় এবং গতকাল রাতভর ওয়াজ-মাহফিল, জিকির-আজকার বিশেষত মহানবীর (সাঃ) পবিত্র জীবন-ইতিহাস তথা সুন্নাহ নিয়ে পীর-আলেম-মাশায়েখদের ওয়াজ নসিয়তের মধ্যদিয়ে তা অব্যাহত থাকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত।
আলেম-ওলামাগণ তাদের আলোচনায় বলেছেন, এই পৃথিবীতে সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ রূপেই আল্লাহপাক মহানবী (সাঃ)-কে উপহার হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ এই পৃথিবীতে কল্যাণকর এবং আদর্শ সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবার গঠনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মানবজাতির সামনে রেখে গেছেন। আজকের অশান্ত বিশে^ মানুষের শান্তি, কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং সম্প্রীতির জন্য বিশ^নবীর (সাঃ) আদর্শ অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।
বর্ণাঢ্য জসনে জুলুস
আনজুমান ট্রাস্টের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য জসনে জুলুস বন্দরনগরীর ষোলশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদরাসা ময়দান থেকে সকালে বের হয়। বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন জুলুসে শামিল হন। জুলুস জামেয়া থেকে মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, দেওয়ানবাজার, সিরাজুদ্দৌলা রোড, আন্দরকিল্লাহ, মোমিন রোড, চেরাগি পাহাড়, জামালখান, চট্টগ্রাম কলেজ, চকবাজার হয়ে আবারও মাদরাসা ময়দানে ফিরে যায়।
বিশিষ্ট আলেম-ওলামা ও নাগরিকবৃন্দের মধ্যে জুলুসে অংশগ্রহণ করেন প্রবীণ আলেমেদ্বীন আল্লামা মুফতি ওবায়দুল হক নঈমী, জামেয়ার অধ্যক্ষ মুফতি মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী, আনজুমানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার প্রমুখ।
সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চট্টগ্রামে আয়োজিত জসনে জুলুস সারাদেশ এমনকি বিশে^ ছড়িয়ে পড়ার কথা জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করি নবীজীর (সাঃ) শানে আয়োজিত চট্টগ্রামের জুলুস গিনেস বুকে স্থান পাবে এবং ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি অর্জন করবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
সাইফ ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৪০ এএম says : 0
সবাইকে মিলাদুন্নবী (সাঃ)এর শুভেচ্ছা, সেই সাথে ইনকিলাব সংশ্লিষ্ট সককলে এবং বিশেষ করে জনাব বাহাউদ্দীন সাহেবকে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন