প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফ-এ যোগ দিতে রাজি না হওয়ায় টানা তিন মাস আস্তানায় আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ করেছে মিতালী চাকমা নামের এক কলেজ ছাত্রী ।
সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার হওয়া ঐ কলেজ ছাত্রী শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অপহরণকারীদের বিচার ও সরকারের কাছে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন। পাশাপাশি ইউপিডিএফ(প্রসীত)গ্রুপের হাতে বন্দি আরো দুই নারীকে উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাঙামাটি সরকারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মিতালী চাকমা বলেন, তাকে দীর্ঘদিন করে প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফ-এ যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল দলটির নেতাকর্মীরা। এতে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ আগষ্ট তাকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় এবং আটকে রেখে বিয়ে প্রস্তাব দেয়।
এতে সে রাজি না হওয়ায় ৩০ আগস্ট তাকে ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা ও শান্তি দেব চাকমার হাতে তুলে দেওয়া হলে ইউপিডিএফ কর্মীরা তাকে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে।
নির্যাতনের এক পর্যায়ে মিতালী চাকমা আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে গত ১৯ নভেম্বর সেনাবাহিনীর টহল দেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে মিতালী চাকমা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার হয়।
মিতালী চাকমা জানায়, ডাক্তারি পরীক্ষার পর প্রাণ ভয়ে সে এক আত্মীয়রে সাথে খাগড়াছড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। কারণ বাড়ীতে গেলে তাকে ইউপিডিএফ(প্রসীত) গ্রুপ মৃত্যুদণ্ড দেবে। তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মিতালী চাকমা আরো বলেন, যারা অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার জীবনকে দর্বিসহ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও একই সাথে তার পিতা-মাতাকে ইউপিডিএফ(প্রসীত) গ্রুপের কবল থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান।
তবে ইউপিডিএফ(প্রসীত)-এর গণমাধ্যম শাখার নিরণ চাকমা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশে পরিকল্পিত সাজানো নাটক বলে দাবী করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন