ঢাকা শহরের যত্রতত্র পুলিশ বক্স নির্মাণ করা হয়েছে। আইল্যান্ড, ফুটপাত এমনকি রাস্তার ওপর পর্যন্ত পুলিশ বক্স চোখে পড়ে। এতে রাজধানীর সৌন্দর্য দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মূলত বিজ্ঞাপনবাজির উদ্দেশ্যে এসব পুলিশ বক্স তৈরি করেছে। রাজউক বা ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি কি নেয়া হয়েছে? পুলিশ বক্সের বিজ্ঞাপনের টাকাই বা কারা আদায় করছে তা তলিয়ে দেখা দরকার। এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা।
বাংলাদেশ বিমানের সেবার মান
গত ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা বাংলাদেশ বিমানের সর্বশেষ ফ্লাইটে আসার সময় যে ধরনের অব্যবস্থার শিকার হলাম তা কহতব্য নয়। রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইট ছাড়ার কথা থাকলেও এটি আসে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। বিমানবন্দরে বেসরকারি বিমানগুলোর সাইনবোর্ড থাকলেও বাংলাদেশ বিমানের কাউন্টার নাম্বার ১৬-এর কোনো সাইনবোর্ড নেই। দু’ঘণ্টার বেশি অপেক্ষার পর বিমানের ককপিটে উঠে আরেক অভিজ্ঞতা হলো। প্রথমে হেডফোন চাইলে ক্রু বললেন যে, বিমানে হেডফোন ব্যবহার করা নিষেধ- তাহলে বিমানের সিটের স্ক্রিনে কী করে অডিও-ভিডিও দেখব? এরপর আরেক ধাক্কা। প্রায় আড়াই ঘণ্টার মতো দেরি হলো; খাবার হিসাবে ভালো কিছু দেবে ভাবছি- দিল গুটিকয় কাজু বাদাম ও ২৫০ মিলি লিটারের পানির বোতল। বিমান ছাড়ার আগে কর্কশ কণ্ঠে ক্রু বললেন, আপনার সিট হেলান দিলে ভেঙে যাবে। এটা শুনে অবাক হলাম। সিট ভেঙে যাওয়ার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে? অন্য বিমান সংস্থায় ক্রুরা নিজেরাই আরাম আয়েসের জন্য হেলে বসতে বলেন। বাংলাদেশ বিমান আসলে ক্রেতাদের চাহিদার তোয়াক্কা করে না। এ ব্যাপারে তারা সচেতন হবে বলে আশা করি।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহাবুব আলী
বাসা: ২৭, সড়ক: ৪, ধানমন্ডি, ঢাকা।
বাংলা পঞ্জিকা বাধ্যতামূলক হোক
বাংলা সনের প্রথম দিন আমরা মহাউৎসব পালন করলেও বাকি দিনগুলোর কথা আমরা ভুলেও স্মরণ করি না। বাংলা তারিখের হিসাব তো দূরের কথা বাংলা মাসের নামটিও মনে রাখি না। এমনকি বাংলা সনকে উদ্দেশ্য করে কেউই কখনো তৈরি করে না বাংলা পঞ্জিকা। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে কখনো বাংলা তারিখের ব্যবহার দেখা যায় না। তাই সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে বাধ্যতামূলক বাংলা তারিখ ব্যবহার ও বাংলা পঞ্জিকা তৈরির ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
গ্রাম: আছানধনী মিয়াপাড়া, ডাকঘর: চাপানীহাট, উপজেলা: ডিমলা, জেলা: নীলফামারী।
মাছ এখন সোনার হরিণ
গ্রামগঞ্জে, শহর-বন্দরে সবখানে মাছের অভাব। নতুন প্রজন্মের অনেকে বহু জাতের মাছের স্বাদ লাভ করেনি। বাজারে মাছের আকাল হেতু বহু জাতের মাছ তারা চেনে না। বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে মাছ চাষে উৎসাহ দিতে প্রায়ই প্রতিবেদন প্রচার করা হচ্ছে। এতে জনগণ সাড়া দিলে সারা বাংলাদেশের পুকুর, দিঘি, ডোবা, খাল, বিল মাছে ভরে যাবার কথা। কিন্তু বাস্তবে মাছের আকাল দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । কারেন্ট জালের ব্যবহার ও বিক্রি আইনগতভাবে নিষিদ্ধ হলেও দেশের কোথায় কোথায় কারেন্ট জালের বিক্রি ও ব্যবহার হচ্ছে তা পত্রপত্রিকা থেকে জানা যায়। ছোট নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি এবং পুকুর-দিঘি মালিকদের মাছ চাষের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা অপরিহার্য। মাছ যাতে রোগগ্রস্ত না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে মৎস্য মন্ত্রণালয়ের কার্যকর ভূমিকা নেয়া উচিত। বর্তমানে মাছ চাষ অতি লাভজনক। আমরা চাই মাছে-ভাতে বাঙালি কথাটি বাস্তব হোক। বাংলাদেশ মাছে ভরে উঠুক।
সুমিত্র বিকাশ বড়ুয়া
নন্দকানন, চট্টগ্রাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন