খেলাধুলার রাজধানী ঢাকা। ঢাকার পরপরই গুরুত্বের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের নাম উল্লেখ করা যায়। এখানে রয়েছে দু’টি টেস্ট ভেন্যু জহুর আহমদ চৌধুরী ও এমএ আজিজ স্টেডিয়াম। সাগর পাড়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম শহর থেকে কিছুটা দূরে হলেও এমএ আজিজ স্টেডিয়াম শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সে সুবাদে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চট্টগ্রাম ক্রীড়াঙ্গণে লেগেছে ভোটের হাওয়া। কোন আসনে কে প্রার্থী। কারা ক্ষমতায় আসছে, ক্রীড়াঙ্গণের উন্নতিসহ নানা বিষয়ে চলছে বিশ্লেষণ। ক্রীড়াঙ্গণের কারা মনোনয়ন পেলেন তা নিয়েও জোর আলোচনা।
ক্যারিবীয় ও বাংলাদেশ টেস্টে গ্যালারিতে দর্শকরাও খেলা দেখার পাশাপাশি ভোট নিয়েও কথাবার্তা বলতে দেখা গেছে। এমনকি স্টেডিয়ামের আশপাশ এলাকায় দোকানগুলোতেও ভোট নিয়ে চলছে নানা কথা। এসব কথাগুলোর মাঝে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তো। নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক আগামীতে ক্রীড়াঙ্গণে উন্নতি কেমন হবে। টেস্ট ম্যাচ চলাকালে দুপুরে কয়েকজন যুবক জেলে পাড়ার কয়েকটি দোকানে চা খাওয়ার ফাঁকে নির্বাচন নিয়ে নানা মন্তব্য করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ বলছে, নির্বাচন হবে কিন্তু সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
আবার কারও কারও অভিমত হচ্ছে, ক্রীড়াঙ্গণ হচ্ছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। আমরা চাই খেলাধুলার সুষ্ঠু পরিবেশ। আরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হোক বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। তারপরও একটি প্রশ্ন তাদের খেলাধুলাকে যারা ভালোবাসেন ক্রীড়াবান্ধব মানুষ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসুক। ঠিক এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের আশপাশের ঝুপড়ি চা এবং খাবার দোকানেও ভোট নিয়ে চলছে নানান কথা। একেকজন একেক অভিমত দিচ্ছে। পরিবেশ কতটুকু শান্তিপূর্ণ থাকবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে অনেকের। কেউ বলছেন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। কারণ এদেশের মানুষ রাজনৈতিক সচেতন এবং ভোটপাগল। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালোভাবে শেষ হলেই ভালো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন