লক্ষীপুরের রামগতি ও কমলনগরে মেঘনাপাড়ের মাটি কেটে নিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। গত একমাস ধরে উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের হাজীগঞ্জ মেঘনা নদীর পাড় কেটে নিচ্ছে দেদারছে। এতে ওই এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ হুমকিতে রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দক্ষিণ চরকালকিনি ইউনিয়নসহ মেঘনা নদীর পাড়ের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রত্যেক দিন অর্ধশত ট্রাক্টরট্রলী দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে একটি সিন্ডকেট ব্যবসায়ী। একদিকে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন অন্যদিকে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীর কারণে লোকালয় আরো তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ওই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছে। প্রভাবশালী একটি চক্র ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। অল্প টাকায় মাটি কিনে ইটভাটায় বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে দ্রুত ভেঙে পড়েছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। সরকার (রামগতি-কমলনগরে) মেঘনার ভাঙনরোধে কাজ করছে। সেই বাঁধের পাশ্ববর্তী এলাকার ফসলি জমির মাটি নিচ্ছে ইটভাটায়। উপজেলার ১৫-২০টি ভাটায় নেয়া হচ্ছে এসব মাটি। ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা আরো জানান, বিগত বছরের মতো চলতি বছরেও হানিফ কোম্পানী, গানি মাঝি, আরিফ কোম্পানী, লোটাস কোম্পানী ও ছিদ্দিক মেম্বারসহ অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী চক্ররা প্রত্যেকদিন মাটি কেটে নিচ্ছেন তাদের ভাটায়। এতে বাড়ছে নদীর ভাঙন। এছাড়া রাস্তাঘাট ও কালভার্ট নষ্ট হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। মাটি কেটে নেয়ার বিষয় ছিদ্দিক মেম্বার ও হানিফ কোম্পানী জানান, প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাহিরে থেকে মাটি কেটে আসছি। চরকালকিনি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার ছায়েফ উল্লাহ জানান, আমার এলাকা থেকে কে বা কারা মাটি কেটে নেয় বিষয়টি আমার জানা নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ হোসেন জানান, দীর্ঘদিন মাটি কেটে নেয়ার বিষয়টি শুনেছি। এব্যাপারে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন