একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ (কাউখালী-ভান্ডারিয়া-ইন্দুরকানী) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পিরোজপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ভান্ডারিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহম্মেদ সোহেল মঞ্জুর সুমনের পক্ষে একাট্টা। দলীয় নেতাকর্মীরা শেষ পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে সোহেল মঞ্জুরকে চান। তিনি বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সোহেল মঞ্জুর তিনটি উপজেলার দলীয় নেতাকর্মীসহ তার সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের বেসামরিক প্রধান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম মঞ্জুর ছেলে।
এদিকে এ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে জোট থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ায় তিনিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করেন, এ আসনের তিনটি উপজেলায় লেবার পার্টির সংগঠন শক্তিশালী নয়। তার ভরসা শুধু ধানের শীষ প্রতীক। এদিকে, কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
এ আসনে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এমপি ও মন্ত্রী রয়েছেন। তার সঙ্গে ভোটের মাঠে লড়াই করতে একমাত্র সোহেল মঞ্জুরই পারবেন বলে নেতাকর্মী ও তার সমর্থকরা মনে করেন। তারা বলেন, ভান্ডারিয়া আনোয়ার হোসেনের উপজেলা হলেও সেখানে বিএনপি জোটের সাংগঠনিক অবস্থান অনেকটা মজবুত। তারা আরও জানান, ২০১৪ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। ফলে এ আসনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নির্বাচিত হন।কাউখালী ২০দলীয় ঐক্য জোটের শক্ত ঘাটি হিসাবে পরিচিত। এখানে পর পর দুইবারই বিএনপির প্রার্থী এস,এম আহসান কবীর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সোহেল মঞ্জুর জানান, ‘আমি বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত দল আমাকে নির্বাচন করার জন্য চিঠি দেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন