শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সাবধানতা মেনে তবে অ্যান্টিবায়োটিক খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সারা বছর নানা কারণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার অভ্যাস আমাদের রয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশির আক্রমণ হোক বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত জ্বর, সবকিছুতেই আমরা আশ্রয় নেই অ্যান্টিবোয়োটিকের। দিনের পর দিন এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার ভাল-মন্দ নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়েই গবেষণা চলছে।
চিকিৎসকদের মধ্যেও এই বিষয়ে দু’টি স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। যেমন কিছু সাবধানতা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে তা শরীরের ক্ষতি করে না, বরং নিয়ম না মেনে বা মাঝপথে বন্ধ করে দিলে অ্যান্টিবোয়োটিকের নেতিবাচক প্রভাব শরীরে ফেলে বলে মত চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের এক অংশের।
আবার যে কোনো অসুখেই কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করাকে মোটেও ভাল চোখে দেখেন না চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের আরেক অংশ। তাদের মতে, দিনের পর দিন একটানা অ্যান্টিবোয়োটিক খেতে খেতে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা চলে যায়। একান্ত প্রয়োজন না হলে তাই অ্যান্টিবোয়োটিক না খাওয়াই উচিত। খেলেও খান সাবধানতা মেনে।
তবে দু’পক্ষই একটি বিষয়ে একমত যে, অ্যান্টিবোয়োটিক যদি একান্ত খেতেই হয় তাহলে কিছু জরুরি বিষয় মেনে চলতে হবে। তবেই শরীর ক্লান্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ও বড়সড় অসুখ ডেকে আনা থেকে দ‚রে থাকা যাবে। আসলে এই ওষুধ ব্যবহার করার সময় আমরা প্রায় কোনো সতর্কতাই মানি না।
চিকিৎসকরা বলছেন, ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। সাধারণত, আগে কোনো অসুখ হয়ে থাকলে পরের বার সেই অসুখ ফের হলে আমরা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে জানা অ্যান্টিবোয়োটিক খেয়ে নিই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনটা করবেন না। টুকটাক পেটের অসুখ বা সর্দিকাশিতে তা চললেও, একটু বড় আকারের কিছু হলে একেবারেই নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন না। শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ও অসুখের মাত্রা না বুঝে অ্যান্টিবোয়োটিক খাওয়া উচিত নয়।
অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় নিয়ম করে দু-তিন লিটার পানি খান। অনেকেই প্রচুর পানি খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ফলের রস, ডালজাতীয় খাবার খান।
অ্যান্টিবোয়োটিক খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঙ্গে অ্যান্টাসিড ও ভিটামিন খান।
অ্যান্টিবায়োটিক খেলে হজম ক্ষমতা কিছুটা কমে। তাই সহজপাচ্য খাবার খান। তেল-মশলা জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড একেবারেই নয়। বরং এ সব এড়িয়ে হজমে সহায়ক খাবার খান। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন