যশোরের শার্শায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে জাহিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার নারীসহ ছয়জনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় শার্শার ইসলামপুর নামক গ্রাম থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে বুধবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত জাহিদুল বেনাপোল পৌরসভার নারানপুর গ্রামের জুব্বারের ছেলে।
নিহতের চাচা আব্দুল হামিদ জানান, তার ভাতিজাকে বিদেশ পাঠানোর নাম করে শার্শার ইসলামপুর গ্রামের সুমি নামে এক নারী টাকা নেয়। পরে সুমি বিভিন্ন তাল বাহানা শুরু করেন। সুমির বাড়িতে পাওনা টাকা আনতে বুধবার রাতে জাহিদুল তার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে যায়। পরে বন্ধুকে বাড়ির পাশে একটি দোকানে বসিয়ে জাহিদুল সুমির বাড়িতে ঢোকেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও ওই বাড়ি থেকে জাহিদুল বের না হওয়ায় তাকে ফোন করা হয়। এসময় তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে সন্দেহ হয়। পরে লোকজন সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে একপর্যায়ে বাড়ির পাশ থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়।
বেনাপোল পোর্টথানার সহকারী পরিদর্শক কর্মকর্তা (এএসআই) রনজু জানান, এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন