ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দায়ে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন তালিকাভুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। তারা বলেছে, এটা করা হয়েছে একতরফা ও রাজনৈতিক উদ্দেশে। মঙ্গলবার পাকিস্তান, চীন, সউদী আরবসহ বেশ কিছু দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসলামাবাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বুধবার। তারা বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই একতরফা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমুলক ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করছে পাকিস্তান। এ রিপোর্টে সুস্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব প্রতিফলিত হয়েছে। এতে একতরফা ঘোষণার বিশ্বাসযোগ্যতা ও পক্ষপাতিত্বহীনতা নিয়ে গুরুত্বর প্রশ্ন রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। এর আগে খবরে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরান, চীন ও রাশিয়াসহ ১২ দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ইরান, চীন, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, সুদান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, মিয়ানমার, কমোরোস, ইরিত্রিয়া ও সউদী আরবে পদ্ধতিগতভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিবৃতিতে পম্পেও দাবি করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার সুযোগ উন্মোচন করা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় আরো কিছু দেশের সঙ্গে ইরানকেও ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করলেন যখন ইরানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মুসলমানদের মতো সমান ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার ভোগ করছেন। সেইসঙ্গে ইরানের পার্লামেন্টে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষিত রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে ভুল পদ্ধতি অনুসরণ, দ্বৈত নীতি গ্রহণ, নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন ও ক্ষেত্রবিশেষ অতিরঞ্জন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি উপেক্ষা ইত্যাদি কারণে আমেরিকা ভুলে ভরা প্রতিবেদন তৈরি করে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। এ ছাড়া, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় অন্যান্য দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন যখন খোদ আমেরিকায় মুসলমানসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার পদদলিত হওয়ার বহু উদাহরণ রয়েছে। ডন, পার্সটুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন