অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে অসময়ে সৃষ্টি হয়েছে একটি গভীর নিম্নচাপ। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপের এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে সমুদ্রে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে প্রায় সারা দেশে গরমের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। তবে গভীর নিম্নচাপটি কেটে গেলে এ সপ্তাহের শেষ ভাগে ফের কমতে পারে তাপমাত্রার পারদ। তখন ধীরে ধীরে বেড়ে যাবে শীতের কামড়।
গতকাল (শুক্রবার) আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫২০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৬০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫২৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. যা, দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সে.। সর্বোচ্চ সিলেটে ২৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮ দশমিক ২ এবং সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সে.।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন