চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পুলিশি হয়রানি, গ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোথাও শাসক দলীয় ক্যাডারদের হামলা এবং এতে আহত হয়েছেন বিএনপি জোটের নেতা-কর্মীরা। উত্তর চট্টগ্রামের (চট্টগ্রাম-৩) স›দ্বীপ নির্বাচনী এলাকার হারামিয়া ইউনিয়নে গতকাল (শনিবার) ধানের শীষের প্রার্থী মোস্তফা কামাল পাশার ব্যানার লাগানোর সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা। গতকাল চট্টগ্রাম বিএনপি নেতৃবৃন্দ এ অভিযোগ করেন। তারা জানান, যুবদল নেতা বেলাল উদ্দিনের হা-পা কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। তাকে গুরুতর অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
তাছাড়া স›দ্বীপের রহমতপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমানের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এসময় মাহফুজুর রহমান ও তার ছেলে মাহবুবুর রহমানকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
স›দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৫ জন নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশ হানা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের লাঞ্ছিত ও ভাঙচুর করে। উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজ, রহমতপুর ইউনিয়ন বিএনিপর নেতা আব্দুর রহিম মেম্বার, আমানুল্লাহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ফিরোজ খান, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বাহাদুর, বিএনপি নেতা আলগমগীর মেম্বার, গাছুয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন, মগধরা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. শামসুদ্দিন, সন্তোষপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আশরাফুদ্দিন জনি, হারামিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. বেলাল উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা মো. গোফরান উদ্দিনের বাসায় পুলিশ এ হামলা চালায় বলে জানান বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
তারা আরও জানান, গতকাল চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) আসনে পুলিশ দু’জন বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের পক্ষে গণসংযোগ করার সময় চৌমুহনী সাইক্লোন সেন্টারের সামনে তার ছেলে প্রফেসর ওমর ফারুকসহ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। হামলায় ওমর ফারুক, স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ, আব্দুস সালাম ও আব্দুল গফুর আহত হন। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হারুন কাকন, হাকিম মেম্বর, কামাল মেম্বার, বাবুল মেম্বার, সুজন মেম্বার, সেকেন্দার হোসেন নয়ন, মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, মহিউদ্দিন হাশেম, ওমর ফরুক, সাইফুজ্জামানসহ ১১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) এলাকায় ১০নং ইউনিয়নের আবদুল্লাহ ঘাটায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ওয়ার্ড যুবলের সহ-সভাপতি মোঃ শওকত আলীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার হাতে থাকা সকল ব্যানার-পোস্টার পুড়িয়ে দেয়। হামলায় শওকতের মাথা ফেটে যায়। সন্ত্রাসীরা লোহার রডের আঘাতে তার পা ভেঙ্গে দেয়। তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলামকে গতকাল সন্ধ্যায় বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। নুরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় জামিনে থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ভূজপুর থানায় নিয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন