চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে দলীয় কোন্দলের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন। গতকাল (সোমবার) বিকেলে উপজেলার কলেজ রোড রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সৈয়দ মোহাম্মদ দাউদ সম্রাট (৩৫) উপজেলা যুবলীগের সদস্য এবং ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। আহত দুজন হলেন- যুবলীগ সদস্য অমল ও সাজ্জাদ হোসেন। যুবলীগের সম্রাট ও শহীদ গ্রæপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত সম্রাট জেলা যুবলীগ নেতা মামুন গ্রুপের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান করছিল সম্রাট ও তার সহযোগী। এ সময় মাইক্রোবাসে আসা শহীদ গ্রæপের কর্মীরা অতর্কিত তাদের উপর হামলা চালায়। সম্রাটের সহযোগীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে তাদের হামলায় তিনজন আহত হয়। হামলাকারীরা তাদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন বলেন, সীতাকুন্ডে কুপিয়ে আহত তিনজনকে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা মোহাম্মদ দাউদ সম্রাট নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে হতাহতদের দেখতে হাসপাতালে আসার পর আরও এক যুবলীগ কর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সীতাকুনড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বিকেল ৪টার দিকে যুবলীগের সম্রাট ও শহীদ গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ওসি। স্থানীয়রা জানিয়েছে, দুই মাস আগে যুবলীগ নেতা শহিদ ডাকাতের এক ভাইকে দাউদ গ্রুপ হত্যা করে। তার প্রতিশোধ নিতেই দাউদ সম্রাটকে কুপিয়ে হত্যা করেছে শহিদ গ্রুপের কর্মীরা। ওসি জানান, দুই পক্ষই সরকারি দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এস এম আল-মামুন বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে যুবলীগ নেতা দাউদ সম্রাটকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। খুনিদের গ্রেফতার দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন