সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনেই মহাজোটের বর্তমান সংসদ সদস্যেদের মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে জাতীয় পার্টির বিজয় হয়েছে। জেলার পাঁচটি আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় থাকা ৩২ প্রার্থীর মধ্যে ২২ জন নির্বাচনী নীতিমালা অনুযায়ী পর্যাপ্ত ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পেলে ওই প্রার্থী জামানত ফেরত পাবেন। সে হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনে জামানত হারিয়েছেন ২২ জন। তবে বিএনপির প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি।
সূত্র মতে, সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধরমপাশা) জামানত হারালেন জাকের পার্টির আমান উল্লাহ আমান, ভোট পেয়েছেন ৪৪৩ ভোট; ইসলামী আন্দোলনের ফখর উদ্দিন পেয়েছেন ১ হাজার ৪৩০ এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বদরুদ্দোজা সুজা পেয়েছেন ১৮৫ ভোট।
সুনামগঞ্জ-২ আসনে (দিরাই-শাল্লা) জামানত হারালেন গণতন্ত্রীপার্টির গোলজার আহমদ পেয়েছেন ২০৮, কমিউনিস্ট পার্টির নিরঞ্জন দাস ৩৩৩ ভোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মাহমুদ হাসান চৌধুরী ৮৭ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলনের আবদুল হাই ৩৫৫ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) জামানত হারালেন এলডিপির মাহফুজুর রহমান খালেদ পেয়েছেন ৫১৩ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের মহিবুল হক আজাদ ৩২৮ ভোট, জাকের পার্টির শাহজাহান চৌধুরী ১২৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সৈয়দ মুবশ্বির আলী ৫১ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সুনামগঞ্জ সদর-বিশ্বম্ভরপুর) জামানত হারালেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের আল হেলাল পেয়েছেন ১১৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের তানভীর আহমদ তাছলিম এক হাজার ৫২৯ ভোট, খেলাফত মজলিসের মুফতি আজিজুল হক এক হাজার ৪১৬, এনপিপির মোহাম্মদ দিলোয়ার ৪৫৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান ৩৬৫ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক-দোয়ারাবাজার) জামানত হারালেন গণফোরামের আইয়ুব করম আলী পেয়েছেন ৬৪৬ ভোট, খেলাফত মজলিসের মোহাম্মদ সফিক উদ্দিন ২০৬ ভোট, ন্যাপের মো. আবদুল ওদুদ ৬৩৫ ভোট, বিএনএফের মো. আশরাফ হোসেন ৮১ ভোট, জাতীয় পার্টির নাজমুল হুদা ৫৫১ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের হুসাইন আল হারুন ৭৩৩ ভোট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন