শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাজেট সহায়তার বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২১শ’ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

অবশেষে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা পেলো বাংলাদেশ। প্রথম ধাপে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৮৪ টাকা ধরে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। 

গতকাল বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের আবাসিক প্রতিনিধি চিমিয়াও ফান চুক্তিতে সই করেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন অর্থ বিভাগের সচিব আবদুর রউফ তালুকদার ও ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম। প্রকল্প সম্পর্কে উস্থাপন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আজিজুল আলম।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা অবকাঠামো, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে উন্নতি করেছি। তবে কর্মসংস্থানে কিছুটা পিছিয়ে আছি। সরকার অবকাঠামো সুবিধাসহ বেসকারি খাতকে বিভিন্ন ধরণের সুবিধা দিচ্ছে। তারা ব্যাপক বিনিয়োগ করবে। ফলে বিভিন্ন খাতভিত্তিক বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠিত হলে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশা করছি।
মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের রাজস্ব, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সংস্কার করা হবে। আমাদের ৬০ শতাংশ কর্মক্ষম জনশক্তি রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ জনসংখ্যার বোনাসকাল ভোগ করতে পারবো। দেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে। আগে উঠা নামা থাকলেও এখন ধারাবাহিকভাবে উন্নতি হচ্ছে। নির্বচানী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা আমরা বাস্তবায়ন করবো।
সূত্র মতে, বিশ্ব ব্যাংকের এই ঋণের আওতায় বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও ব্যবসা বাণিজ্য পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকদের সুরক্ষা ও সব ধরণের অভিঘাত মোকাবেলার সক্ষমতা জোরদার করা হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকহারে কর্মে প্রবেশ নিশ্চিতকরণ নীতি ও কর্মসূচির উন্নয়ন করা হবে।
‘জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’ প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংক ঋণ বাস্তবায়ন করবে অর্থ বিভাগ। প্রস্তাবিত বাজেট সহায়তার আওতায় বিশ্বব্যাংক আগামী তিন বছরে মোট ৭৫০ মিলিয়ন ডলার দেবে। প্রথমধাপে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৫০ মিলিয়ন বা ২৫ কোটি ডলার দিলো সংস্থাটি। প্রকল্পটি ২০২০-২১ অর্থ বছরে সমাপ্ত হবে।
২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। এই অর্থের উপর বার্ষিক সার্ভিস চার্জ শূণ্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়াও ১ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ দিতে হবে। প্রকল্পের আওতায় নতুন কোম্পানি আইনের বিধিবিধান প্রনয়ণ, ব্যবসা পরিচালনার আইনী কাঠামো সহজ ও স্বয়ংক্রিয় করা হবে। সরকারের সকল দফতরের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন করা হবে।
এছাড়া পরিবেশ বান্ধব বাজেট প্রণয়ন, গ্যাসের মূল্য যৌক্তিকীকরণ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ করা হবে।
চিমিয়াও ফান বলেন, গত দুই দশকে বাংলাদেশের আর্থিক অগ্রগতি অবিশ্বাস্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সেভাবে অগ্রগতি অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ মান সম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। প্রকল্পটি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন