শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

এইচএসসির ফরম পূরণে অনিয়মের অভিযোগ

কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রাজপাট ডিগ্রি কলেজের ফরম পূরণের সুযোগ বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এসব অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে।
তাদের অভিযোগ, শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্বাচনী পরীক্ষায় এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য ৫৭ শিক্ষার্থীকে নিয়মবহির্ভূতভাবে ফরম পূরণের সুযোগ করে দিয়েছেন এবং ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন।

ফরম পূরণে সুযোগ বঞ্চিত নাজমুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, আলিম সিকদার, রমজান শেখ, নাসরিন খানম ও হাসিব সিকদারসহ বেশকিছু শিক্ষার্থী জানায়, নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ নিয়মিত শিক্ষার্থী এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে।

কলেজের অবস্থান ধরে রাখতে শিক্ষকরা গ্রেজ নম্বর দিয়ে ১১৩ জন শিক্ষার্থীর পাসের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ফরম পূরণে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে। পরবর্তীতে বেশকিছু অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে তারা ফরম পূরণের সুযোগ দেয়। তাদের কাছ ৭ হাজার করে টাকা নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, অকৃতকার্যদের যদি সুযোগ দেয়াই হয়, তাহলে সকল শিক্ষার্থীকে দেয়া হোক।
মো. বদরুল নামে কলেজের এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে ইংরেজী ও আইসিটিতে অল্প নম্বরের জন্য পাশ করতে পারেনি। কিন্তু তার থেকেও অনেক কম নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছে এমন শিক্ষার্থীকেও ফরম পূরণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু তার ছেলেকে কলেজ-কর্তৃপক্ষ সুযোগ দেয়নি।

গত ২২ ডিসেম্বর মোট ২২৭ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশ করা ১১৩ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরের দিন একদল অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষসহ কয়েক শিক্ষককে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘কলেজ পরিচালনা পর্ষদের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে অকৃতকার্যদের মধ্য থেকে ৪৭ জন এবং অসুস্থজনিত কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি এমন ১০ জনসহ মোট ১৭০ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীকে ফরম পূরণের সুযোগ দেয়া হয়।’
তবে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, যাদের প্রাকটিক্যাল আছে তাদের ফরম পূরণ বাবদ ৩ হাজার টাকা এবং যাদের নেই তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪’শ ৪৫ টাকা করে নেয়া হয়েছে। অনেকের বকেয়া ছিল, যা ফরম পূরণের সময় আদায় করা হয়েছে। এর বাইরে কারও কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন