শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আদিবাসীদের ডাকে বন্ধ পালিত

প্রতিবাদ না করলে হিন্দিভাষীরাও আসামে থাকার অধিকার হারাবে : পরেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

আসামের ছয়টি জাতিগত গোষ্ঠীকে শিডিউলড ট্রাইব (তফশিলি উপজাতি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বন্ধ পালন করছে রাজ্যের আদিবাসী সংগঠনগুলো। শুক্রবার সকাল ৫টায় শুরু হওয়া এ বন্ধ টানা ২৪ ঘণ্টা চলবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ-এর প্রতিবেদন থেকে এ কথা জানা গেছে। নাগরিকত্ব (সংশোধনী)বিল ২০১৬ নিয়ে আসামে কয়েকদিন ধরে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। ঠিক সেই সময় রাজ্যের ছয়টি জাতিগত গোষ্ঠীকে শিডিউল ট্রাইবস-এর অন্তর্ভুক্ত করার বিল পাসের প্রস্তাব দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার বিলটি পার্লামেন্টে তোলা হয়। রাজ্যের যে ৬টি জনগোষ্ঠীকে সরকার তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দিতে চাইছে সেগুলি হলো আহোম, মটক, মরান, চুটিয়া, কোচ-রাজবংশী এবং আদিবাসী তথা চা সম্প্রদায়। এ প্রস্তাব রাজ্যের আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। আদিবাসীদের সংগঠনগুলোর জোট দ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি অব দ্য ট্রাইবাল অর্গানাইজেশনের অভিযোগ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রকৃত আদিবাসীদের বঞ্চিত করে ওই ৬ জনগোষ্ঠীকে শিডিউল ট্রাইবস মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এর আগে মঙ্গলবার নাগরিকত্ব (সংশোধিত) বিল পাসের বিরোধিতা করে আসামে বন্ধ পালিত হয়। অপর এক খবরে এবিপি জানায়, ভারতের আসাম রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালিরা নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল না হলে তাদের শত্রæ বলে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন উলফার প্রধান পরেশ বড়ুয়া। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জোর করে আসামবাসীর আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। এই লড়াইয়ে উলফার সশস্ত্র বাহিনীই নেতৃত্ব দেবে। শুধু বাঙালি নয়, ভূমিপুত্রদের কোণঠাসা করার জন্য আনা নাগরিকত্ব বিলে প্রতিবাদ না জানালে হিন্দিভাষীরাও আসামে থাকার অধিকার হারাবে বলে হুমকি দেন পরেশ। আলোচনাপন্থী উলফার নেতা জিতেন দত্ত বলেন, ভারত সরকার আসামের দাবি না মানলে, আসামেরও স্বাধীনতার দাবি তোলার অধিকার আছে। তিনি জানান, তার অনুগত ছেলেরা শ্রীরামপুর সীমানা দিয়ে আসামের কোনও পণ্য বাইরে যেতে দেবে না। ধর্মীয় সহিংসতার শিকার হয়ে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতের লোকসভায় একটি বিল পাস হয়। বিতর্কিত এই বিল আইনে পরিণত হলে মুসলিম ছাড়া অন্য স¤প্রদায়ের যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ফলে বিপাকে পড়তে পারেন আসামের মুসলিমরা। এদিকে এই বিলের বিরোধিতা করেছে আসামের ৩০টি সংগঠন। টাইমস নাউ, এবিপি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন