শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আদিবাসী’দের উন্নয়নের নামে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাস্তাঘাট, বাড়িঘরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণ। কৃষি জমি বাড়াতে বনাঞ্চল উজাড় ইত্যাদি কারণে উত্তরাঞ্চলের বন্য প্রাণিজগত এমনিতেই বিপন্ন হতে চলেছে। এর বাইরে উপজাতিদের অন্যতম নেশা বন্যপ্রাণী শিকার করে খাওয়ার প্রবণতায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণি। অপরদিকে ‘আদিবাসী’দের জীবনমান উন্নয়নের নামে যে কাজ হচ্ছে তা হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি জেলায় রয়েছে উপজাতি মানুষ। তবে বৃহত্তর দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁ, পঞ্চগড়, ঘোড়াঘাট, বৃহত্তর রংপুরের লালমনিরহাট, নীলফামারী, বৃহত্তর বগুড়ার জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, বৃহত্তর রাজশাহীর নওগাঁ, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং চলনবিল এলাকায় এদের বসবাস। উপজাতিদের উন্নয়ন ও ধর্মান্তর কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন চার্চ, মিশনারি সংস্থার কার্যক্রমের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ডভিশন ও কারিতাস ইত্যাদি এনজিওর চেষ্টা সত্ত্বেও এখনও কমপক্ষে ২৫ লাখ উপজাতি মানুষ আধুনিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি।
‘আদিবাসী’ গবেষণা পর্ষদের তথ্য বলছে, ওই ২৫ লাখ উপজাতিরা প্রাচীন জীবনধারায় চলছে। এদের বেশিরভাগই সাঁওতাল। প্রায় ভূমিহীন উপজাতিরা স্বভাবতই শহর ও পৌর এলাকা থেকে দূরবর্তী দুর্গম গ্রামাঞ্চলে বসবাস করতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। ভূস্বামী গোত্রের মানুষদের কাছ থেকে এরা সামান্য জমি নিয়ে ঘর বানিয়ে বসবাস করে।

ভূস্বামীসহ অন্যান্য মানুষের জমিতে ফসল ফলানোই উপজাতি মেয়েদের প্রধান কাজ। কৃষিকাজ ও ঘর গেরস্থালীর কাজ মেয়েরাই করে থাকে। চোলাইমদ তৈরিও এদের অন্যতম একটি কাজ। পুরুষরা মাছ ও বন্যপ্রাণি শিকারের কাজ করে। নদ-নদীতে পানি না থাকা এবং বিল-জলাশয়ে মৎস্যচাষ শুরু হওয়ায় উপজাতিদের মাছ শিকার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে তীর ধনুক নিয়ে পাখি ও বন্যপ্রাণি শিকারই হয়ে উঠেছে তাদের আমিষের চাহিদা মেটানোর একমাত্র অবলম্বন। এটা উপজাতি পুরুষদের নেশাও বটে।
বেজি, বন বিড়াল, মেছোবাঘ, ভোঁদড় জাতীয় প্রাণি, ধেড়ে ইঁদুর, শজারু, বনরুই ও শেয়াল জাতীয় প্রাণি এবং কিছু কিছু সাপ ও পাখি উপজাতিদের প্রিয় খাবার। বর্ষায় এরা বসতবাড়িতে থেকেই উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরে এবং ঘরে তৈরি চুঁঁয়ানি ও দারু জাতীয় মদ খেয়ে সময় কাটায়। তবে শীত মৌসুমে এরা দলবদ্ধ হয়ে তীর ধনুকসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে বন্যপ্রাণি শিকারের অভিযানে বেরিয়ে পড়ে।

‘আদিবাসী’ গবেষণা পর্ষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, দিন দিন প্রকৃতি ও পরিবেশের কি ক্ষতি হচ্ছে সেটা উপজাতিদের বিবেচনায় আসে না। বন্যপ্রাণি শিকার বন্ধের বিষয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। উপজাতি জনগোষ্ঠির ভাষা ও সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্য ঠিক রেখে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরানোর কর্মসূচি নিতে হবে। এর ফলে বিপন্ন প্রায় বন্যপ্রাণি রক্ষাসহ প্রাকৃতিক ভারসাম্যও ধরে রাখা সম্ভব হবে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার রায়হান আহম্মেদ রানার মতে, উপজাতিদের নিয়ে যেটুকু কাজ হচ্ছে সেটা মূলত খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষার শর্তে উন্নয়ন। এটাতো কাঙ্খিত হতে পারে না। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার জানান, উত্তরাঞ্চলের প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে সরকারি পর্যায়ে ভাবনা চিন্তার অবকাশ তৈরি হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (17)
হাবিবুর রহমান ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:২৭ এএম says : 0
এদের একটা নীল নকশা আছে তা কখণও বাস্তবায়ণ করতে দেওয়া যাবে না।
Total Reply(0)
মামুন আহাম্মাদ ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:২৭ এএম says : 0
প্রশাসন এইগুলো চোখে দেখে না!! এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
Total Reply(0)
তরিকুল ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:২৮ এএম says : 0
বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই বাংলাদেশে বাঙালীরাই আদিবাসী।
Total Reply(0)
মিফতাহুল জান্নাত ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:২৯ এএম says : 0
অত্যন্ত ভালো একটা নিউজ। ইনকিলাবকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
ওয়াহীদ ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৪৭ এএম says : 0
শুনেছি,,স্বাধীনতার সময় খৃস্টানদের সংক্ষা এদেশে ২৫০ শত মাত্র ছিল,,,সেই সংখ্যা এখন কোটিতে পৌছানের কাছাকাছি,,,কিভাবে ৫০ বছরে এত সংখ্যা বাড়তে পারে,,,এদিকে ভারতে মুসলমানের সংখ্যা দিন দিন কমতেছে,,
Total Reply(0)
Amir Hamza ১০ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:২১ পিএম says : 0
এখন মুসলিমদেরকে ও তারা ক্রিস্টিয়ান ধর্মের অনুসারী বানাচ্ছে বিভিন্ন সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে।
Total Reply(0)
ফারুক আহমেদ ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:৪৬ এএম says : 0
দীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য মুসলিমদেরও বেরিয়ে পরা উচিত।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ বিপ্লব ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:১২ এএম says : 0
কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক
Total Reply(0)
Ainul Asif ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৯:৪৭ এএম says : 0
মিশনারিদের অপতৎপরতা নিয়ে বাংলাদেশের মিড়িয়ায় কিছু আসেনা,মিশনারিদের চক্রান্তে মুফতি জুবায়ের সহ অসংখ্য আলেমরা আজ জেলে,ইনকিলাবকে অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
Total Reply(0)
Md Mahmudunnabi ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:১৪ পিএম says : 0
প্রথমত সংখ্যাগত ভুল আছে। সংখ্যাটা ২৫ লক্ষ হবে না। ২.৫ লাখের কাছাকাছি হতে পারে৷ ২য়ত তারা আদিবাসী নয়। বরং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। তাদেরকে আদিবাসী বলা সংবিধান পরিপন্থী। যাই হোক, ক্রিশ্চান মিশনারীদের অপকর্মগুলো সংবাদপত্রে তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ ইনকিলাবকে।
Total Reply(0)
শেখ বেলাল ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:২০ পিএম says : 0
আদিবাসী হিসাবে যাদের কে বলা হচ্ছে, তারা কোন অবস্থায় আদিবাসী হতে পারে না। কারণ, এরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তাড়া খেয়ে অথবা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এ দেশে বসতি স্থাপন করেছে। ভিন দেশীয় মিশনারীদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। এ অবস্থায় যার যার অবস্থান থেকে মোকাবেলা করা উচিত।
Total Reply(0)
Jatin ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:৫৬ পিএম says : 0
There is some wrong information about their food habit.
Total Reply(0)
Redwan ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:১২ এএম says : 0
এদের রুখতে প্রস্তুতি নেন।
Total Reply(0)
মোঃজয়নুল আবেদীন ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:৪৪ এএম says : 0
কারিতাস ও ওয়ার্ল্ড ভিশন আগে থেকেই উন্নয়নের নামে আদীবাসী ও নিম্ন বর্নের হিন্দুদের খ্রীস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করে আসছে।
Total Reply(0)
Shanto ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ২:১১ পিএম says : 0
It should stopped.
Total Reply(0)
Ahsan ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ৩:২৫ পিএম says : 0
মিশনারী কারিতাস ওয়াল্ডভিশন যেই হোক সরকারের উচিত ধর্ম প্রচারের নামে স্বাধীন দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি বন্ধ করতে। এদেশে তাদের অর্থ সাহায্য অনুদান আসার পথ অনুসন্ধান করতে হবে এবং সে সকল অর্থের ব্যায় এর হিসাব নিকাশ সরকারকে উত্থাপন করতে হবে। প্রয়েজনে মিশনারীগুলোর বৈদেশিক সাহায্য ও অনুদানের উপর কর্তৃত্ব করাতে হবে সরকারকেই। নতুবা এ দেশ এই মাতৃভূমি ফিলিস্তিন ইসরায়েলের মতো হতে সময় লাগবে না।
Total Reply(0)
jack ali ১৫ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:১৫ পিএম says : 0
আমাদের বাংলাদেশে যদি আল্লাহর আইন দিয়ে চলত তাহলে আদিবাসীদেরকে দাওয়াত দেওয়া হতো.. ইসলামে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য অনেক তথ্য আছে যেহেতু বাংলাদেশে আল্লাহর আইনে চলে না সেহেতু মানুষ গাছপালা নদী, পাহাড়-পর্বত সব ধ্বংস করে ফেলেছে যারা দেশ চালায় তারা দেশকে ভালোবাসে না আমরা যারা বাঙালি বেশিরভাগ আমরা দেশকে ভালোবাসি না শুধু টাকা কামানোর জন্য যত ধরনের হারাম কাজ আছে যেমন খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ওষুধে ভেজাল দেওয়া সবকিছু আমরা করি সাঃ নবী সাঃ মূর্তি পূজকদের কে জান্নাতে দাওয়াত দিয়েছেন আর আমরা আজ নবীর কাজ থেকে বিরত আর এই জন্যই মানুষ আল্লাহকে ভুলে যাচ্ছে....প্রতিটি মুসলমানের পরেই ফরজ দায়িত্ব দাওয়াতী কাজ করা যতটুকু জ্ঞান আছে সেটুকু দিয়েই তাকে কাজ করতে হবে না হলে কবিরা গুনাহ হবে....
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন