২০১৮ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত গত ১ বছরে নেত্রকোনা জেলায় ১৬৮টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশীর ভাগ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সড়ক দূর্ঘটনায়। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে রয়েছে হত্যা, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা, বিষপানে আত্মহত্যা, বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ও পানিতে ডুবে মৃত্যু।
সচেতন বিশ্লেষকদের মতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা সরকারী হিসাবের চেয়েও অনেক বেশী। কারণ অনেক সময় নিভৃত পল্লী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে মৃত্যু, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা গেলে পুলিশী হয়রানী কিংবা ময়না তদন্তে কাঁটা ছেড়ার ভয়ে প্রশাসনকে না জানিয়ে অথবা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করায় তা সরকারী হিসাবে নথিভূক্ত হয় না।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্র মতে, নেত্রকোনা জেলায় ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে ১৩টি, ফেব্রুয়ারী মাসে ৬টি, মার্চ মাসে ১৭টি, এপ্রিল মাসে ১১টি, মে মাসে ১৯টি, জুন মাসে ১১টি, জুলাই মাসে ১৩টি, আগষ্ট মাসে ১৭টি, সেপ্টেম্বর মাসে ১৬টি, আক্টোবর মাসে ১২টি, নভেম্বর মাসে ১৬টি ও ডিসেম্বর মাসে ১৭টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
নেত্রকোনা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক আলপনা বেগম বলেন, সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করতে হলে সবার আগে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে রাস্তায় কিভাবে গাড়ী চালাতে হয় সেই সব নিয়ম কানুন সম্পর্কে চালকদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ গাড়ী চালক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অদক্ষ এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় কেউ যেন গাড়ী না চালায় এবং ট্রাফিক আইন যাতে সবাই মেনে চলে তার জন্য ট্রাফিক বিভাগকে আরো সততা ও আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে হবে।
পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধ কল্পে জেলা আইন শৃংখলা সমন্বয় সভায় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যেন অদক্ষ চালকদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও পুলিশ বিভাগ সড়ক দূর্ঘটনার পরপরই মামলা নিচ্ছে এবং অভিযুক্ত চালকদেরকে গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন