সোনারগাঁয়ে আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে মাসব্যাপী লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম, সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সোহেল রানা।
আয়োজকরা জানিয়েছেন এ বছর মেলায় ১৭০ টি স্টল রয়েছে। লোক কারুশিল্পীদের কারুপণ্য প্রদর্শনীর স্টল ৩০টি, হস্তশিল্পের ৫০টি, পোশাকের ৩৩টি, স্টেশনারি ও কসমেটিকস এর ৩০টি ও খাবার চটপটির ১৭টি এবং মিষ্টির ১০টি স্টল এতে স্থান পেয়েছে । এর মধ্যে লোক কারুশিল্পীদের জন্য বিনামূল্যে কারুপণ্য প্রদর্শনীর স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এবারের মেলায় সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম তামা-কাঁসা-পিতল শিল্পের বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ‘অটিজম শিশুদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য’, ‘নৌকা বাঙ্গালির বাহন’, ‘সোনারগাঁয়ের লোকাচার’ও ‘সরকারের উন্নয়নে লোকশিল্প’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী মেলায় অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঝিনাইদহ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের নকশি পাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশি কাঁথা, নকশি হাতপাখা, সিলেটের শীতল, ধামরাইয়ের তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠির কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটাশিল্প, টাঙ্গাইলের বাঁশের কারুশিল্প প্রদর্শন করা হচ্ছে।
লোক কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিলুপ্ত প্রায় লোকজ ঐতিহ্যের অনন্য উপাদান পুনরুদ্ধার ও নতুন প্রজন্মকে তার সাথে পরিচয় করানোর প্রচেষ্টায় ফাউন্ডেশন প্রতিবছর আয়োজন করছে এই লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব। মেলা ও উৎসবে গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান কারুশিল্পী, লোক সংঙ্গীত শিল্পীগণকে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিভা বিকাশ ও প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়াই এ মেলা ও উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য। অতীত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এবার আমাদের নিজস্ব লোকজ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অকৃত্রিমভাবে উপস্থাপন করা হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন