গাংনীতে অপহরণের ৪ মাস পর পায়খানার ট্যাঙ্কি থেকে নারগিছ খাতুন (৪৫) নামের এক নারীর কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৩ কন্যা সন্তানের জননী নারগিছ গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের মৃত লতিফ ফরাজীর স্ত্রী।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল সাহেবনগর গ্রামের আবুল বাসার (অপহরণ মামলার আসামী) নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পায়খানার ট্যাঙ্কির মধ্যে থেকে নারগিছ খাতুনের গলিত লাশ (কঙ্কাল) উদ্ধার করে।
গাংনী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ জানান, ২০১৮ সালের ৫ই আগস্ট থেকে নারগিস খাতুন নিখোঁজ হন। পরে তার মেয়ে তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। এ মামলায় সন্দেহভাজন আবুল বাসার ও তার এক সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা এখনও মেহেরপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, অপহরণ মামলার সন্দেহভাজন আসামী সাহেবনগর গ্রামের জামিরুল ইসলামের ছেলে ফরজ আলীকে শুক্রবার বিকেলে সাহেবনগর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। পরে ফরজ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, সে জানায় এ মামলার আসামী বাসারের (পায়খানা) টয়লেটের ট্যাংকের মধ্যে নারগিসের লাশ রয়েছে। ওই তথ্য অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার (পিপিএম) জানান, লাশ উদ্ধারের পর নিহত নারগিছ খাতুনের সৎ ছেলে সাহেবনগর গ্রামের ইয়াকুব আলীকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন