পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন তোপের মুখে স্থগিত হয়ে গেছে। আজ বুধবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পাবিপ্রবি’র ছাত্রী শ্লীতাহানীর ঘটনায় চলমান আন্দোলন ফের চাঙ্গা হয়ে ওঠে। এর আগে বৃহস্পতিবার নীল দলের পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ভিসি’র পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয় পাবনা প্রেসক্লাবে। তাদের অভিযোগ ভিসি ড. মোঃ ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার চৌধুরী প্যানেলকে বিজয়ী করতে প্রভাব বিস্তার ও সাধারণ শিক্ষক ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। সাংবাদিক সম্মেলনের পরপরই পাবিপ্রবি’র জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রেরিত ভিসির প্রতিবাদ পাঠানো হয়। প্রায় একশত জন শিক্ষক ভোটে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। তাঁরা সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি দেখেন। এই ঘটনার পর নির্বাচন কমিশন প্রফেসর রাশেদুল ইসলাম শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন। পাবিপ্রবি’র ভিসি ড. রুস্তম আলী ফরাজী শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের কারণে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে নীল দল এবং অপর প্যানেল উভয় দলের প্রার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক-বাহক বলে প্রচার চালিয়ে প্যানেল দিয়েছেন । এই দুই প্যানেলের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব । নীল দলের সভাপতি সভাপতি প্রার্থী ড. হাসিবুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক ড. ফজলুল হক। এবং অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোন বঙের নাম দেননি। এই দলের সভাপতি ড. মোঃ ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার চৌধুরী। উভয় দলই নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করছেন বলে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনে প্যানেলে দিয়েছেন। নীল দলের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক পাবিপ্রবি’র শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রক্টর আওয়াদ কবির জয় জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন