পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যত: দুই বিভাগের আন্দোলনের ফলে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। ৫২ দিন অতিবাহিত হলেও ইটিই এবং ট্রিপলি (ইইই) বিভাগের চলমান আন্দোলন নিরসন হয়নি। পাবিপ্রবি’র ভিসি ড. এম. রোস্তম আলী দুই বিভাগকে একিভূত করার বিষয়ে গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তের উপর ভর করে রয়েছেন। কমিটি এথনও কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। ইটিই ও ট্রপলি বিভাগের শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন ক্যাম্পাসে। দুই বিভাগের চলমান আন্দোলনের কারণে অন্যান্য অনুষদের পড়া-শোনা বিঘিœত হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার ইটিই বিভাগের ছাত্ররা ট্রিপলি বিভাগে তাদের একিভূত করার দাবীতে বিক্ষোভ করেন। এরপরই ভিসির কুশপুত্তলিকা নিয়ে ট্রিপলি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং পরে জ্বালিয়ে দেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি জটিল আকার নেওয়ার আগেই নিরসন করার দাবী অভিভাবকদের। তাদের মতে, ৩৫ দিন পাঠক্রম থেকে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতির কারণ। এই আন্দোলনের ফলে অন্যান্য অনুষদের লেখা-পড়া ব্যহত হয়ে পড়েছে। ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবীর যৌক্তিক কারণ রয়েছে। তারা ট্রিপলিতে গেল কর্ম ক্ষেত্রে সব দিক খোলা থাকবে। ইটিইতে প্রতিবন্ধকত্বা রয়েছে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন না। এ ছাড়াও কর্ম ক্ষেত্রও সংকুচিত । ইটিই সিলেবাস ও সাবজেক্ট ট্রিপলির সাথে অনেক মিল রয়েছে। একিভূত হওয়া কোনো বাঁধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলেই তাদের ট্রিপলিতে সিফট করতে পারেন। অপরদিকে, ট্রিপলি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইটিই-এর এই দাবীর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ট্রিপলিতে রূপান্তর করা হবে অযৌক্তিক। যে কোনো মূল্যে এই অপচেষ্টারোধ করা হবে। এই রোধ করার কারণেই তারা আন্দোলন করছেন। জটিল হয়ে পড়ছে বিষয়টি। ট্রিপলি বিভাগের শিক্ষাথীরা ভিসির কুশপুত্তলিকা নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আজও। ট্রিপলি (ইইই)
আজ দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় তারা ইটিই বিভাগকে ট্রিপলি বিভাগে না নিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। কর্মসূচীর মধ্যে তারা প্রকৌশল অনুষদের ডীনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন এবং ইটিই (ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিক্যাশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগটিকে যদি ইইই (ট্রিপলি), ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগে রুপান্তর করা হয়। তাহলে শিক্ষার্থীরা ভিসি বিরোধী আন্দোলেনের হুঁশিয়ারী দেন।
চলমান আন্দোলনে কর্ণপাত না করায় ট্রিপলি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই প্রকৌশল অনুষদের ডীন ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। সেইসাথে তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ।
পাবিপ্রবি’র প্রক্টর প্রীতম কুমারের সাথে আজ মঙ্গলবার মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ আমি আইন-শৃংখলা অবনতির বিষয়টি দেখি। এটি আমার বিষয় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ভিসি স্যার শিক্ষকদের মধ্যে থেকে এবং বাইরে থেকেও দুইটি কমিটি করে দিয়েছেন, এই বিষয়টি নিরসন করার জন্য এরচেয়ে বেশী তিনি আর কিছু জানে না।’
প্রকৌশল অনুষদের ডীন ড. শেখ রাসেল আল আহম্মেদ’র সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, একটি মিটিং রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন