কর্মব্যস্ততা, অতিরিক্ত উদ্বেগ, খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ না করা প্রভৃতি কারণে অল্প বয়সেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের শরীরেই। নানা বয়সের বহু মানুষ এই সমস্যার শিকার। উদ্বেগের কারণ যে তাদের সংখ্যা বাড়ছেই।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের এই সব রোগের প্রকোপ বাড়ে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, আজকাল তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এই অসুখের শিকার হচ্ছে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার সঙ্গে উপরি পাওনা স্ট্রেস। আর তার হাত ধরেই এই সব অসুখ শরীরে প্রবেশ করছে।’
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নিয়মিত ওষুধ খাওয়াই নিয়ম। তবে তার সঙ্গে জরুরি পথ্য ও জীবনযাপনেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। প্রতিদিনের ডায়েটে এমন কিছু জিনিস রাখা উচিত, যার প্রভাবে উচ্চ রক্তচাপকে সহজেই মোকাবিলা করা যায়। ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এর মতে, রসুনই পালন করতে পারে সেই পথ্যের ভ‚মিকা।
রসুনের অন্যতম উপাদান হল সালফারে পূর্ণ অ্যালিসিন ও ডায়ালিল ডিসালফাইড। এই দুই উপাদানই উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। রসুনের সালফার রক্তনালিতে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করে, এতে রক্তনালির স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। কার্ডিওভাস্কুলার ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রেও এই রসুন অত্যন্ত উপকারী। এর অ্যালিসিন উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে তা স্বাভাবিক করে।
রসুন বিষয়ে ‘অ্যানালস অব ফার্মাকোলোথেরাপি’-র এক সমীক্ষায় উঠে এসেছিল এর উপকারী দিকের কথা। সেখানেও দেখা যায়, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে এমন মানুষদের ডায়েটে রসুন যোগ করায় হাতেনাতে সুফল মেলে। তবে রান্নায় দেয়া রসুনের চেয়ে কাঁচা রসুনে উপকার বেশি বলেই মত গবেষকদের।
‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ তাদের সমীক্ষায় দেখেছে, যারা প্রতি দিন ৪৫০ থেকে ৯৫০ মিলিগ্রাম রসুন খাচ্ছেন, তাদের রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই, অথচ জীবনযাপনে প্রচুর স্ট্রেস, তাঁরাও এই অসুখ ঠেকাতে প্রতিদিন ডায়েটে খাবারে করতেই পারেন কয়েক কোয়া রসুন।
তবে বিশেষ কোনও অ্যালার্জি বা কোনও ক্রনিক অসুখের ওষুধ খেলে রসুন খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন