বর্তমান সময়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি স্বাভাবিক সমস্যা। যে ভাবে আমাদের স্ট্রেস এবং টেনশন বাড়ছে, তাতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রায় সবার মধ্যেই রয়েছে। আর দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের কারনে হার্টের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
করোনার আবহে টেনশনে থাকতে থাকতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা যেন আরও বেড়ে গেছে। করোনা থেকে বাঁচতে নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখা যে অত্যন্ত জরুরি তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আপনার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে এবার গবেষকরা উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য একেবারে খুব সহজ এবং স্বাদু পদ্ধতি বের করেছেন।
সম্প্রতি ইয়োরোপিয়ান জার্নাল অফ নিউট্রিশনে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে প্রতিদিন দুই গøাস করে কমলালেবুর জুস খেলে মাত্র ১২ সপ্তাহের মধ্যেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। অত্যন্ত সহজে খুবই তাড়াতাড়ি এই পদ্ধতিতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
এই গবেষণা অনুযায়ী কমলালেবুর রসে হেসপিরিডিন নামক ফ্ল্যাভনয়েড থাকে। এটি শরীরে অ্যান্টঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এক লিটারে একশ শতাংশ কমলালেবুর রসে ৬৯০ মিলিগ্রাম হেসপেরিডিন থাকে। ১২ সপ্তাহ প্রতিদিন টানা এই জুস পান করলে সিস্টোলিক বøাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। হাইপারটেনশনের রোগীদের জন্যও কমলালেবুর জুস অত্যন্ত উপকারী।
দেখা গেছে ১২ সপ্তাহ ধরে যারা কমলালেবুর জুস পান করেছেন তাদের বøাড হিমোকিস্টাইন কোনও ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে। বøাড হিমোকিস্টাইন হার্টের অসুখের জন্য দায়ি। নিয়মিত কমলালেবুর জুস পান করলে ইউরিক অ্যাসিডও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট পূর্ণবয়স্ক মানুষদের অর্ধেকই হাইপারটেনশনে আক্রান্ত। বর্তমানে করোনায় এই সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। তাই এত সাধারণ একটি পদ্ধতিতে হাইপারটেনশন এবং হাইবøাডপ্রেশার যে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, সেই খবরটা সত্যিই উল্লেখযোগ্য। কোনও ওষুধ ছাড়াই শুধু দিনে দুই গøাস কমলালেবুর জুস খেয়েই সুস্থ থাকা সম্ভব।
তবে কমলালেবুর জুস খেলেই হবে না। এর বাইরে নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া করতে হবে। কমলালেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন ঈ থাকে। আপনার শরীরে ১০০ শতাংশ ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা মেটাবে এই রস। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন ঈ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
শরীরে উপযুক্ত পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকলে আপনার রক্তচাপ ঠিক থাকবে। কমলালেবুর রস এই কাজটি দারুণ ভাবে করে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলও থাকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীর সুস্থ রাখে। এর ফলে হাইপারটেনশন কম হয়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন