আফতাব চৌধুরী
মানুষের হাতে পরিবেশের উপাদানগুলোর যে পরিবর্তন ঘটে চলেছে তা অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক, যার ক্ষতিকর প্রভাব পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষকে স্পর্শ করেছে। কিন্তু তার প্রতিকারের পথ আদৌ মসৃণ নয় এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোও সহজসাধ্য নয়। পরিবেশ সমস্যা এমন এক সমস্যা যেখানে বিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রশক্তি চাইলেই তার সমাধান হয় না। এখানে দেশের সাধারণ মানুষের একটি বড় ভূমিকা আছে। কারণ সমস্যাগুলো তৈরি হওয়ার সময় তারা নানাভাবে জড়িত থাকে। তাই কোনো সমাধানে পৌঁছতে হলে বিজ্ঞানী, রাষ্ট্রশক্তি এবং দেশের সাধারণ মানুষের যৌথ সহযোগিতার প্রয়োজন হয়, অনেকটা তিন-পায়া টেবিলের মতো যার তিনটে পায়া সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বায়ু ও পানি দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় স্তরে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি ও পরিবেশ অধিদপ্তর রয়েছে। ভূ-গর্ভের পানির আর্সেনিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আবহাওয়ার ক্ষতিকর পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার বিজ্ঞানীদের সহায়তায় ‘ওহঃবৎ মড়াবৎহসবহঃধষ চধহবষ ভড়ৎ ঈষরসধঃব ঈযধহমব’ (ওচঈঈ) গঠন করেছে। বিভিন্ন দেশের প্রায় এক হাজারের ওপর বিজ্ঞানী ভূ-উষ্ণায়ন সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করছেন। তারা ৪টি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ এসব বিষয়ে কিছু জানে না। তাই সম্প্রতি লন্ডন, প্যারিস ও সুদূর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরকে এক ঘণ্টা সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছিল, দেশের সাধারণ মানুষ যাতে ভূ-উষ্ণায়ন সম্পর্কে সচেতন হয়।
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ পরিবেশের সব বিষয় সম্পর্কে প্রায় অন্ধকারে আছে। সুতরাং তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেতে হলে বিষয়টি প্রথমে তাদের ভালো করে জানানো দরকার, বোঝানো দরকার। পরিবেশের অধিকাংশ সম্পদের পরিমাণ সীমিত। অস্বাভাবিক হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য লাভের জন্য অতি বিপুল পরিমাণে ভোগ্যপণ্য, বিলাসদ্রব্য ও যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণের ফলে তার ওপর ক্রমবর্ধমান হারে চাপ বাড়ছে। মানুষ যত সম্পদ ব্যয় করে তার অর্ধেকের বেশি অপচয় করে। পানি, সার, পেট্রোলিয়াম, কয়লা, অন্যান্য খনিজ সম্পদ এবং জীব সম্পদ সম্পর্কে একথা প্রযোজ্য। মানুষ তার প্রয়োজনে প্রতিদিনই বন/বনানী ধ্বংস করে চলেছে। পৃথিবীতে এর আগে এত বিপুল হারে অরণ্য ধ্বংস হয়নি। প্রতিদিন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রায় তিন লক্ষ। তাই এ বর্ধিত মানুষের প্রতিদিনের চাহিদা পূরণে এবং ভরণ-পোষণের জন্য আরো বেশি করে সবুজের আচ্ছাদন বাড়ানো দরকার। কিন্তু বাস্তবে প্রতি মিনিটে চারটি ফুটবল মাঠের সমান সবুজের আস্তরণ পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হচ্ছে। সুতরাং আমরা এমন একটি যুদ্ধে লড়ছি, প্রতিদিন যেখানে পিছু হটছি। উদ্ভিদ ও প্রাণীর ৯৯:১ সুষম অনুপাতটিকে বলা হয় প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের বেঁচে থাকার অনুপাত (ঝঁৎারাধষ ৎধঃরড় ভড়ৎ মৎববহ ঢ়ষধহঃং ঃড় ধহরসধষ)। এর গুরুত্ব অপরিসীম, যার ওপর শুধু মানুষ নয়, সমস্ত প্রাণীর অস্তিত্ব নির্ভর করছে। জনসংখ্যার চাপে আজ তা ভেঙে পড়তে চলেছে। তাই দেশের প্রত্যেক মানুষের কিছু ভূমিকা আছে, কিছু দায়িত্ব আছে, কিছু করণীয় কর্তব্য আছে তাকে রক্ষা করার।
পরিবেশের উপাদানগুলোর অবক্ষয় রোধে দেশের জনসাধারণের, বিজ্ঞানী ও সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে যেসব কাজে সহযোগিতা অবশ্য প্রয়োজন সেগুলো হলোÑ সমস্যাটি সঠিকভাবে এবং সম্পূর্ণভাবে জানা এবং এ সমস্যা তৈরিতে নিজের ভূমিকা যত সামান্য হোক তা বোঝা। পরিবেশের উপাদানগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ হ্রাসের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ করা। পৃথিবীর প্রত্যেকটি জীবের জন্ম এবং মৃত্যু হার মোটামুটি সমান, তাই কোনো জীবের সংখ্যা বিশেষ বাড়ে না। বিগত দুই লক্ষ বছর ধরে মানুষের সংখ্যা তাই বিশেষ বাড়েনি। বাড়ছে মাত্র ২০০ বছর ধরে। বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে মৃত্যুহার জন্মহার থেকে লক্ষণীয় মাত্রায় কমে যাওয়ার ফলে মানুষের সংখ্যা এক সরল ঊর্ধŸরেখায় দ্রুত বেড়ে চলেছে, যা পরিবেশের ধারণ ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চীন দেশে বিগত দুই দশক ধরে ‘পরিবার পিছু এক সন্তান প্রথা’ সমাজের সর্বস্তরে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। আমাদের দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণের ফলে শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী সমাজের অংশ দ্রুত সঙ্কুচিত হচ্ছে, এটা কিন্তু শুধু শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে নয়, সমাজের সর্বস্তরে, সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পালিত হওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে গবাদিপশুর সংখ্যা দেশের জনসংখ্যার তুলনায় অনেক কম। চারণ ভূমির পরিমাণ অতি নগণ্য, তাই খাদ্যের অন্বেষণে এরা অরণ্যে প্রবেশ করে অন্যান্য অঞ্চলের উদ্ভিদ ধ্বংস করে। এদের বর্জ্য পদার্থ থেকে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় যা ভূ-উষ্ণায়নের সহায়ক। এ দূষণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গবাদিপশুর সংখ্যা বৃদ্ধি প্রয়োজন। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমানো আবশ্যক। তার পরিবর্তে সোলার কুকার, সোলার আলো, সোলার পাম্প, সোলার হিটার যতদূর সম্ভব বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা প্রয়োজন। জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তার এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহৃত হয় ঘরে আলো জ্বালানোর জন্য। তাই বাড়িতে ‘কমপ্যাক্ট ফ্লুরোসেন্ট ল্যাম্প, (ঈঋখ), পাখায় ‘ইলেকট্রনিক রেগুলেটার’ ও টিউব লাইটে ‘ইলেকট্রনিক চোক’ ব্যবহার করলে লক্ষণীয় মাত্রায় বিদ্যুতের সাশ্রয় হয়, পরোক্ষে জীবাশ্ম জ্বালানির সাশ্রয় হয়। কয়লা বা কাঠের পরিবর্তে গ্যাসে রান্না করা এবং যেখানে সম্ভব সেখানে বায়োগ্যাসে রান্না করা আবশ্যক। ১টি গরু প্রতিদিন গড়ে ২০০ গ্রাম মিথেন গ্যাস উৎপন্ন করে, ওই মিথেন যদি বায়োগ্যাস প্লান্টে ব্যবহৃত হয় তাহলে একসঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির সাশ্রয় হবে, ভূ-উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক হবে। ক্রমবর্ধমান এবং অস্বাভাবিক বর্ধিত হারে মোটরসাইকেল, স্কুটার এবং মোটর গাড়ির ব্যবহার বন্ধ করে তার পরিবর্তে সাইকেল, সোলার ব্যাটারি চালিত যানবাহন অথবা পদব্রজে যাতায়াত অভ্যাস করা প্রয়োজন। দৈনিক তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটা স্বাস্থ্যপ্রদ। গ্রামে প্রতি ঘরে রন্ধনের পরিবর্তে কমিউনিটি কিচেনে বায়োগ্যাসে রন্ধনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সিএফসি, হ্যালোন প্রভৃতি গ্রিনহাউস গ্যাস জনসাধারণের কাছে পরিত্যাজ্য হওয়া আবশ্যক। পাতলা প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার বর্জন করা প্রয়োজন। ওই প্লাস্টিক নিকাশি ব্যবস্থায় সমস্যার সৃষ্টি করে। জৈব আবর্জনা জমলে মিথানোজেন ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয় যা ভূ-উষ্ণায়নে সাহায্য করে। ভূ-গর্ভের পানির ব্যবহার কৃষিকাজে, কল-কারখানায় এবং আবাসনে যথাসম্ভব কম করা দরকার। প্রতিটি নলকূপের পানি নিয়মিতভাবে এবং ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখা দরকার তাতে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিক আছে কিনা। আর্সেনিক পীড়িত পানিতে কৃষিকাজ করা উচিত নয়। নলকূপের পানির পরিবর্তে নদী, হ্রদ-সরোবর এবং কুয়োর পানি পরিশোধন করে ব্যবহার করা প্রয়োজন। কল-কারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য পদার্থে বায়ুম-ল এবং নদী, সমুদ্র, হ্রদ ও সরোবরের পানি এবং সেই সঙ্গে জলাভূমি ও অন্যান্য ভূমি যাতে দূষিত না হয় সে বিষয়ে জনসাধারণের সতর্ক দৃষ্টি থাকা জরুরি। প্রয়োজনে সংঘবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করা দরকার। কৃষি জমিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে বেশি করে জৈব সার ও জীবাণু সার ব্যবহার প্রয়োজন। কৃষি জমিতে স্থায়ী কীটনাশক পদার্থের পরিবর্তে সহজে বিনষ্ট হয় এমন কীটনাশক দ্রব্য ব্যবহার করা প্রয়োজন। কৃষি জমিতে এক ধরনের শস্য চাষ না করে, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রকার শস্য চাষ দরকার। কৃষি জমিতে অতিরিক্ত সেচের পানি ও অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করা উচিত নয়। সাধারণ মানুষের হাতে পরিবেশের সম্পদগুলোর বিপুল অপচয় ঘটে। লোহা, টিন, দস্তা প্রভৃতি খনিজ পদার্থ, কাগজ, কাপড়, প্লাস্টিক ও কাঠের দ্রব্য ফেলে না দিয়ে পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। বর্ষার সময় বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করা এবং বন্যার সময় বন্যার পানি ও পলিমাটি বিশেষ খাল কেটে ধরে রাখার ব্যবস্থা করা দরকার। পতিত জমিতে, বাড়ির উঠোনে, ছাদে এবং খালি উদ্বৃত্ত জমিতে বৃক্ষ রোপণ করা এবং পুত্রস্নেহে তাদের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা আবশ্যক। নিজ এলাকায় বৃক্ষছেদন সম্পূর্ণ বন্ধ করা প্রয়োজন। উন্নয়নের স্বার্থে যদি কোনো বৃক্ষ অপসারিত হয় তাহলে তার দ্বিগুণ সংখ্যক বৃক্ষ রোপণ করা আবশ্যক। বৃক্ষ সম্পর্কে মানুষের মনে নতুন মূল্যবোধ গড়ে তোলা দরকার। হিসাব করে দেখা গেছে একটি বৃহবাজার বৃক্ষ ৫০ বছর ধরে যত অক্সিজেন বাতাসে যোগ করে, দূষণ প্রতিরোধ করে, ভূমিক্ষয় রোধ করে প্রাণীদেহের প্রয়োজনীয় যত প্রোটিন উৎপন্ন করে, প্রকৃতির পানিচক্রকে সচল রাখে এবং পশুপাখি, কীট-পতঙ্গের আশ্রয় দিয়ে যত প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে তার সর্বনি¤œ মূল্য ১৫,৭০,০০০ টাকা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এর পরিমাণ হয়তো অদূর ভবিষ্যতে আরো কমে যাবে। তার পরিণতি কী হবে? পরিণাম জানতে হলে আমাদেরকে জানতে হবে বৃক্ষ কি? শত্রু কিংবা মিত্র? বৃক্ষের প্রথম কাজ মাটি এবং বাতাসে পানি কণা জমা রাখা। বাতাসে জমা করা এ পানি কণা পরবর্তীতে বৃষ্টিতে রূপ নেয়। আর মাটির নিচে জমা করা পানি কণা আমাদের জন্য পানির বিশাল ভা-ার গড়ে তোলে। তাপ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশের দূষণ রোধে বৃক্ষ এক মহান যোদ্ধা। এ ছাড়া বৃক্ষ যে কারণে আমাদের কাছে জীবনের প্রতীক হিসেবে দেখা দিয়েছে তার নাম অক্সিজেন। বৃক্ষ আমাদের অক্সিজেন দান করে এবং বিনিময় হিসেবে নিচ্ছে প্রাণঘাতী কার্বন-ডাই-অক্সাইড। তার মানে দুভাবে গাছপালা আমাদের প্রাণ জোগাচ্ছে। প্রতিদিন মাত্র ১ হেক্টর বনভূমি থেকে অক্সিজেনের পরিমাণ ৬৫০ কেজির মতো। এ পরিমাণ বনভূমি আবার বাতাস থেকে শুষে নিচ্ছে ৯০০ কেজি কার্বন-ডাই-অক্সাইড। আরো নানাভাবে করুণাময়ী বৃক্ষ আমাদের করতলে নানা উপহার তুলে দিচ্ছে যেমনÑ কাঠ, ফলমূল, ফুলরাজি ও বনজ ওষুধ ইত্যাদি। আসলে বৃক্ষ যেন এক রতœাগার। থরে থরে এতে সাজানো আছে হীরা, পান্না, চুনি। অথচ আমাদের সীমাহীন উদাসীনতায়, সচেতনতার অভাবে, মেধাবী পরিকল্পনাহীনতার কারণে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ এ রতœাগার নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এমন একটা দিন অচিরে আসবে যেদিন একটি বৃক্ষের সন্ধানে আমাদের মাইলের পর মাইল হাঁটতে হবে। ফলে সমগ্র দেশ একটি বিরাণ ভূমিতে পরিণত হবে। সোনার এ দেশকে মানুষের মানচিত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেষের সে ভয়ঙ্কর দিন আসার আগে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে। নিঃশব্দ মুক্তিযুদ্ধের আয়োজনে ব্যস্ত হতে হবে প্রতিটি সচেতন মানুষকে।
সুতরাং একটি বৃক্ষ শুধু কাঠ, ফুল, ফল উৎপন্ন করে না, সে যেভাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে তার মূল্য ও গুরুত্ব আরো অনেক বেশি। পরিবেশের অন্যান্য উপাদান সম্পর্কে এ কথা প্রযোজ্য। এ ভারসাম্যের ওপর পৃথিবীতে মানুষ সমেত সকল জীবের জীবন নির্ভরশীল। তাই মানুষের সব কার্যক্রমে ও জীবন দর্শনে পরিবেশের উপাদানগুলোর বিশুদ্ধতা রক্ষায় যথাযথ গুরুত্ব আরোপ বাঞ্ছনীয়।
পরিশেষে একটি কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মানুষের হাতে পরিবেশের উপাদানগুলোর এ পর্যন্ত যা ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব। তবে সমস্ত পৃথিবীর মানুষ সমবেতভাবে আপ্রাণ চেষ্টা করলে এ ক্ষতির ক্রমবর্ধমান হার লক্ষণীয় মাত্রায় হ্রাস করা সম্ভব এবং একটি স্থিতাবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব, যা মানব প্রজাতিকে এক নতুন জীবন দর্শন অবলম্বন করে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট। বৃক্ষ রোপণে জাতীয় পুরস্কার (স্বর্ণপদক) প্রাপ্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন