লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুপস্থিতি ও অবহেলায় মো. বাবুল হোসেন নামে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক ভবানী প্রসাদ রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ শংকর কুমার বসাককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ডা. নিজাম উদ্দিন ও ডা. আবদুল্লাহ মো. জাহের। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় জেলা সিভিল ডাঃ সার্জন মোস্তফা খালেদ আহমেদ এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
অভিযুক্ত চিকিৎসক ভবানী প্রসাদ রায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কনসালটেন্ট কার্ডিওলোজি বিভাগের ডাক্তার। পৌর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় শুভ হার্ট, মেডিসিন এন্ড কনসালটেশন সেন্টার নামে লাইসেন্স বিহীন বেসরকারি এই ক্লিনিকের স্বত্ত্বাধিকারী তিনি নিজেই। ঘটনার সময় চিকিৎসক ওই চেম্বারেই অবস্থান করছিলেন।
সিভিল সার্জন বলেন, চিকিৎসকের অনুপুস্থিতিতে রোগীর মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন হাতে আসবে। প্রতিবেদন হাতে এলে প্রকৃত দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত সোমবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অনুপুস্থিতি ও অবহেলায় মো. বাবুল হোসেন নামের এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক (কনসালটেন্ট কার্ডিওলোজি) ভবানী প্রসাদ রায় হাসপাতালে না থেকে ব্যক্তিগত প্রাইভেট ক্লিনিকে ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অন্যান্য রোগীরাও ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রাাইভেট ক্লিনিকে প্রেরণ করার অভিযোগ করেন। বুকে ব্যথা নিয়ে দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হন সাহাপুর এলাকার বাবুল হোসেন। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ডা. সালাহ উদ্দিন,তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হৃদরোগ বিভাগের কনসালটেন্ট ভবানী প্রসাদ রায়ের কাছে পাঠান। কিন্তু এসময় হাসপাতালে ছিলেন না তিনি। ফোন করা হলে জরুরী কাজে বাইরে আছেন বলে জানান তিনি। পরে সিভিল সার্জনকে ফোন দেয়া হলে অন্য চিকিৎসকে পাঠান। তবে এর আগেই মৃত্যু হয় বাবুল হোসেনের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন