চলতি আমন মৌসুমে পটুয়াখালী জেলায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে, উৎপাদিত আমন ধান থেকে ১৭৮৬ কোটি টাকার চাল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। আমনের এ বাম্পার ফলনের ফলে চাহিদার লক্ষ মাত্রা পূরন করে জেলায় ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৫৮ মে.টন চাল অধিক উৎপাদিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক হ্রদয়েশ্বর দত্ত জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুমে জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ২ লাখ ১২২ হেক্টর জমিতে, কিন্তু চাষাবাদ করা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৬৮৮ হেক্টর জমিতে। ইতোমধ্যে আবাদী ফসল কাটা শেষ, উৎপাদিত ধান বিক্রি করে ১৭৮৬ কোটি টাকার চাল পাওয়া যাবে। এবারে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৫৭ মে.টন চাল উৎপাদান হওয়ার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমান জমি চাষাবাদ হওয়ায় ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৫৮ মে.টন চাল উদ্ধৃত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৩ লাখ ২৪ হাজার ১০৫ মে.টন চাল উফশি জাতের এবং ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩১০ মে.টন চাল।
জেলার ৮ টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় চাষাবাদ করা হয় ২৬ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমিতে, বাউফল উপজেলায় ৩৬ হাজার ১৯৮ হেক্টর জমিতে, গলাচিপা উপজেলায় ৩৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, কলাপাড়া উপজেলায় ৩৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, দশমিনা উপজেলায় ১৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে, দুমকী উপজেলায় ৬ হাজার ৬৭০ একর জমিতে, এবং রাঙাবালী উপজেলায় ৩৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
জেলার রাঙাবালী উপজেলার চর হালিমের কৃষক মো. রফিক জানান, এবারে আমনের খুব ভাল উৎপাদান হয়েছে, ঝড়, বৃষ্টিসহ বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হওয়ায় তারা খুব খুশী। বাজারে আমনের ভাল দাম রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক হ্রদয়েশ্বর দত্ত জানিয়েছেন আমনের প্রকার ভেদে গড়ে ৩৫০০০ হাজার টাকা প্রতিমেট্রিক চাল বাজারে বিক্রি করতে পেরেছে কৃষক। তারা কৃষকদের আমন উৎপাদনের শুরু থেকে তারা কৃষকদের উফশী জাতের বীজ, প্রদর্শনীর ব্যবস্থা সহসারসহ বিভিন্ন রকম পরামর্শ প্রদান করে থাকেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন