ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নবসম্পৃক্ত ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিক্ষা-সংস্কৃতির মানোন্নয়ন করে একটি আধুনিক মডেল ওয়ার্ড গড়তে চান কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এখানকার জলাবদ্ধতা, সব অবৈধ দখল মুক্তকরণ,সন্ত্রাস-মাদক ও চাঁদাবাজি নির্মূল করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা।
এছাড়া বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ওয়ার্ডটিকে গতিশীল রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রার্থীরা। পাশাপাশি অন্যান্য নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবের মাধ্যমে একটি আধুনিক মডেল ওয়ার্ড গঠন করে দুস্থ, অসহায় ও অদক্ষ পুরুষ মহিলাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলাই হবে মূল লক্ষ্য। এক্ষেত্রে দারিদ্র্য বিমোচন করে সঠিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। আর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সংবলিত একটি ডিজিটাল ওয়ার্ড গঠন করতে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ভোটার প্রায় ২৩ হাজারের বেশি। আর কাউন্সিলর প্রার্থী মোট ৬জন। তারা হলেন- আবদুল আলমি খান (ঝুড়ি), আসফাকুর রহমান (মিষ্টি কুমড়া), কামরুজ্জামান খাঁন সুমন (ঠেলাগাড়ি), মো. জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার (ট্রাক্টর), মো. মাসুদুর রহমান বাবুল মোল্লা (লাটিম), মো. সিফাত সাদেকীন (ঘুড়ি)।
জানা গেছে, নবগঠিত ৬৪ নং ওয়ার্ডের মূল সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংকট ও মাদক। এছাড়া ভোটের মাঠে স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভোটারদের মাঝে কিছু বিভাজনও প্রভাব ফেলে নির্বাচনের মাঠে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে গতি মিলিয়ে উন্নয়ন হচ্ছে এখানেও। সকল নাগরিককে সাথে নিয়ে উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে কাউন্সিলর হতে চান প্রার্থীরা।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সিফাত সাদেকীন চপল বলেন, আমি সুনামের সাথে ডেমরা থানা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এলাকার নবীন-প্রবীণ ভোটারদের আর্শিবাদ নিয়েই নির্বাচন করছি। তাদের সুখ-দু:খের কথা মাথায় রেখেই এই নির্বাচনকে চ্যলেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। তিনি বলেন, বংশানুক্রমিকভাবেই সামাজিক উন্নয়ন ও মানব সেবায় আমাদের পরিবার আজও কাজ করে চলেছে। দাদার আমল থেকেই আমরা স্কুল, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ করেছি। তিনি বলেন, নাগরিক সুবিধা সংবলিত একটি মডেল ওয়ার্ড করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর দলমত নির্বিশেষে সর্বসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে পরিকল্পিতভাবে ওয়ার্ডের উন্নয়ন করব। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা ও মাদক চিরতরে দূরীকরণে সর্বাত্মক লড়াই করবো। হয় মাদক থাকবে না হয় আমি থাকবো বলেন চপল।
তিনি আরো বলেন, এলাকার সাধারণ মানুষ প্রতিদিন আমাকে নিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ মাথায় হাত ভুলিয়ে দোয়া করছেন। তাদের জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ এই নির্বাচনে জয়লাভে আমি শতভাগ আশাবাদী।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো, জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার বলেন, এই এলাকায় অনেক বছর যাবত আমি স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। এলাকার ছোট-বড় সবাই আমাকে বরিশাইল্লা জাহাঙ্গীর হিসেবে চিনেন। যেহেতু আমার পরিচিতি বেশি, তাই জয়ের ব্যপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করবো। এছাড়া এলাকার জলাবদ্ধতা ও মাদক নিরসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করব। তিনি বলেন, ভোটের সমীকরণে স্থানীয় ভোটারের চেয়ে বাইরের ভোটার অর্থাৎ বিভিন্ন জেলা থেকে এসে বাড়ি করে স্থানীয় হয়েছেন যারা এখানে তাদের সংখ্যা বেশি। এ জন্য আমি স্থানীয় এবং বহিরাগত বাসিন্দাদের সকলের সহানুভূতি ও সমর্থন পাচ্ছি।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুল আলমি খান বলেন, এই এলাকার সন্তান হিসেবে এক নামেই সবাই আমার পরিবার ও আমাকে চিনেন। কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে ৬৪ নং ওয়ার্ডের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজগুলো আমার পক্ষে সহজে সম্পন্ন করা সম্ভব। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অবৈধ দখল ও সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ও আমি কাজ করে যাবো। আর সামাজিক ঐক্য সুদৃঢ় করে এ ওয়ার্ডকে একটি ডিজিটাল ওয়ার্ড হিসেবে গরব। দক্ষ জনশক্তি বৃদ্ধির জন্য এলাকায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও গণপাঠাগার গড়ে তুলব। শক্ত হাতে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্মূল করতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন