রাউজানে ফুলের চাষাবাদে আগ্রহী হয়েছে অনেকেই। একসময় ফুল চাষ বুঝতোনা অনেকেই। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রতিটি সরকারী আঙ্গিনায় গড়ে তোলা হয়েছে বাহারী ফুলের বাগান। থানা প্রশাসন ফুল ও ফলের বাগানে পিছিয়ে নেই। উপজেলা পরিষদ ভবন এলাকা, ফুলঝুড়ী পার্ক, সদর তসিল অফিস সংলগ্ন মাঠে চোখ ধাধাঁনো ফুলের বাগান সৃষ্টি করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হোসেন রেজা। একইভাবে রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ বিশাল থানা পুকুর পাড়ে ও থানা কাম্পাউন্ডে নানা জাতের ফুলে বাগান করে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। এবার রাউজান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুহাম্মদ আবছার ১৭ শতক জমিতে ফুলের চাষ করেছেন। দেখার দেখায় রাউজানে কৃষিজীবিরা এখন ফুল চাষের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইতোপূর্বে কৃষকরা যেসব জমিতে ধান চাষ করে কাংঙ্খিত ফসল পায়নি, ওসব জমিতে এখন বিভিন্ন জাতে ফুল চাষ করা হচ্ছে। অনেকেই বলেছেন প্রথমবারের মতো ফুলচাষ পরীক্ষামূলকভাবে করা হলেও, তারা আশাবাদি এই বাগান থেকে বানিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদন করে লাভবান হবেন।
সাম্প্রতিক বছর গুলোতে সমাজের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে ফুলের বহুবিধ ব্যবহার থেকে এখন মানুষ মনোযোগি হয়ে উঠেছে পতিত জমির আবাদ করে ফুল চাষের দিকে। অনেকেই অনাবাদি থাকা জমি পরিষ্কার করে ফুল চাষের উপযোগি করছে। কেউ কেউ শুরু করেছেন বাগান। রাউজানের চারবারের সাংসদ এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীও চান ফুলে ফলে সমৃদ্ধ হওক রাউজান।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ নুরুল আবছার নিজের জমিতে কয়েকজন কামলা দিয়েছে জমিতে ফুল চারা পরিচার্যা লাগানোর কাজে। সরেজমিন গেলে তিনি ববলেন প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার ফুল বেচা কেনা হয় এই রাউজানে। বাজারে এসব ফুলের জোগান আসে শহরের আড়ত সমূহ থেকে। তার মতে সারা দেশে ফুলের চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই চাহিদা মিঠাতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আমদানি করা হয় বিভিন্ন জাতের ফুল। এই চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে তিনি অন্যান্যদের সাথে ফুল চাষ করছেন বলে জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেছেন রাউজানের মাটি ফুল চাষের উপযোগি। পরিকল্পিত ভাবে কৃষিজীবিরা ফুল চাষে মনোযোগি হলে লাভবান হবে সবাই। কৃষি বিভাগও এই খাতের সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন