শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

ডুয়িং বিজনেসের উন্নতিতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়াতে হবে: ডিসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৯, ৯:০৬ পিএম

দেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন সূচকের (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস) উন্নতি ঘটাতে অবকাঠামো খাতের বিকাশে বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

সোমবার (৪ মার্চ) পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে চেম্বার নেতারা এ আহ্বান জানান। চেম্বারের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার উন্নয়নে কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে সরকার দেশের বেসরকারি খাতের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও সরকার একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা দেওয়ার জন্য ঢাকা চেম্বারের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির জন্য কারিগরি শিক্ষার প্রসার এবং এ খাতে বিনিয়োগের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান।

ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জসমূহ হ্রাসের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ব্যবসা পরিচালনার সূচকসহ অন্যান্য সূচকে নিম্নতর অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ও প্রতিদ্বন্দী অর্থনীতিসমূহের তুলনায় বিনিয়োগ আকর্ষণে পিছিয়ে পড়ছে। তাই, ডুয়িং বিজনেস ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে অবকাঠামো খাতের বিকাশে বাস্তব পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে আমরা জিডিপির ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ অবকাঠামো খাতে ব্যয় করে থাকি। তবে, সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য এ খাতে বাজেট বরাদ্দ জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করা আবশ্যক।

ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ বলেন, ঢাকা চেম্বার দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণাও পরিচালনা করছে। তিনি সরকারি বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকল্প পরিচালনার কাজে ঢাকা চেম্বারকে সম্পৃক্ত করার আহবান জানান।

সংগঠনের পরিচালক হোসেন এ সিকদার বলেন, আবাসন খাতে রেজিস্ট্রেশন খরচ বেশি থাকার ফলে ইতোমধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তুতকৃত ফ্ল্যাট ক্রেতাদের নিকট হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। তাই, রেজিস্ট্রেশন খরচ কমাতে হবে। পুরোনো ঢাকা থেকে অদাহ্য ও ক্ষতিকারক নয় এমন পদার্থ যেন সরানো না হয় সে বিষয়েও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। অপর পরিচালক আশরাফ আহমেদ বিনিয়োগ ও জিডিপি’র আনুপাতিক হার বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

আরেক পরিচালক মো. রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, পাট ও পাটশিল্পের বিকাশে গবেষণা এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার আবশ্যক। এখাতের উন্নয়নে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা ও উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার প্রস্তাবও করেন তিনি।

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন, ডিসিসিআই পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, ইঞ্জি. মো. আল আমিন, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, নূহের লতিফ খান এবং এস এম জিল্লর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন