এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্মচারীদের প্রভিডেন্ড ফান্ড আর কোনো মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হতে পারবে না। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে এমন কড়াকড়ি আরোপ করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সম্পদ ব্যবস্থাপকের সম্মতিপত্র কমিশনে দাখিল না করেই সম্প্রতি সিএপিআইটিইসি পপুলার লাইফ পি এফ ইউনিট ফান্ডের চাঁদা গ্রহণের প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। একই সঙ্গে সিএপিআইটিইসি পপুলার লাইফ পি এফ ইউনিট ফান্ডের অনুমোদনও বাতিল করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কিছু শর্ত সাপেক্ষে সিএপিআইটিইসি পপুলার লাইফ পি এফ ইউনিট ফান্ডের প্রসপেক্টাস অনুমোদ করা হয়েছিল। গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ফান্ডটির গণপ্রস্তাব আগামী ১৯ মার্চ শেষ হওয়ার কথা।
বে-মেয়াদি ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয় ১০ কোটি টাকা। যার মধ্যে ফান্ডটির উদ্যোক্তা পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বিনিয়োগ করে এক কোটি টাকা। আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিনিয়োগ থেকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। সে কারণে প্রসপেক্টাস ইস্যুর সম্মতিপত্রে কমিশন ফান্ডটির উদ্যোক্তা পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেনিফিসিয়ারি অর্থাৎ পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সিএপিআইটিইসি পপুলার লাইফ পি এফ ইউনিট ফান্ডে বিনিয়োগের বিষয়ে সম্মতি কমিশনে দাখিলের শর্ত আরোপ করে।
কিন্তু ফান্ডটির সম্পদ ব্যবস্থাপক সিএপিআইটিইসি ফান্ড ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড তা কমিশনে দাখিল না করে প্রভিডেন্ট ফান্ডটির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মতি দাখিল করে। এর মাধ্যমে সম্পদ ব্যবস্থাপক সম্মতিপত্রের পার্ট-বি’র ১২ নম্বর শর্ত পরিপালন না করেই চাঁদা গ্রহণ করায় সিএপিআইটিইসি পপুলার লাইফ পি এফ ইউনিট ফান্ডের অনুমোদন কমিশন সভায় বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- জানান বিএসইসির এই নির্বাহী পরিচালক।
তিনি জানান, সিএপিআইটিইসি পপুলার লাইফ পি এফ ইউনিট ফান্ডের অনুমোদন বাতিলের পাশাপাশি কমিশন আরও সিদ্ধান্ত নেয়-এখন থেকে আর কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড আর কোনো মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা হতে পারবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন