রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গাজীপুরে কোটি টাকার ভেজাল ঔষধসহ কারখানা মালিক আটক

গাজীপুর থেকে মোঃ দেলোয়ার হোসেন | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৯, ৫:৫৪ পিএম

গাজীপুরে কোটি টাকার ভেজাল ঔষধসহ এক কারখানা মালিককে আটক করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গাজীপুর মহানগরীর ভুরুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ ঔষধ, ঔষধ তৈরীর মালামাল উদ্ধার করা হয়।

গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংএ এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার।

তিনি জানান, সরকারি কোন প্রকার অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন মানুষের ও পশুর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ধরণের ঔষধ তৈরী করছিল একটি চক্র। তারা বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থের সঙ্গে কৃত্রিম রং মিশিয়ে মানুষের রক্ত শুদ্ধিকরণ বটিকা, চর্মরোগের মলম, যৌন শক্তি বৃদ্ধিকরণ বটিকা, চুলপড়া বন্ধের তৈল, হাঁস-মুরগি ও কবুতরের কলেরা, বসন্ত, রাণীক্ষেত এবং ডাক প্লেগ এর ঔষধ তৈরী করে তা সারাদেশে বিতরণ করে আসছিল।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ভুরুলিয়ায় তাদের কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন কেমিক্যাল ও ভেজাল মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসময় কারখানার মালিক রংপুরের মিঠাপুকুর থানার রাণীপুকুর গ্রামের মৃত আকমল হোসেনের ছেলে মোঃ রাব্বানী (৩৮) ও পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকার ময়লার টেকের মজিবর রহমানের ছেলে আব্দুস সালামকে (৪২) কে আটক করা হয়।

এসময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন কেমিক্যাল উচ্চতাপে বিপদজনকভাবে গলানো হয়। পরে আটা, রং, ভিনেগার, কৃত্রিম ফ্লেবার মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় ভেজাল ঔষধ। যা দিয়ে মানুষ ও পশুপাখির চিকিৎসার জন্য সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া হত। প্রেসব্রিফিংকালে উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কে এম আরিফুল হক, গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: মনজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করার অভিযোগে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তার কাছে বর্ষা সিনেমা হল সংলগ্ন একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মোঃ ওসমান গণি (২২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার বরইকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার জানান, ৫০০ টাকার বিনিময়ে তারা ভ‚য়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করতো। অভিযানকালে তার কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র বানানোর কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার, ক্যামেরা, লেমিনিটিং মেশিন জব্ধ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন