রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রচার প্রচারণায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ্যাড. সালাউদ্দিন বিশ্বাস ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সভাপতি আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো: বদিউজ্জামান।
তবে বিএনপি জামায়াতের প্রার্থী না থাকা গত সংসদ নির্বাচনে ভোটধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই । যেই পাস করুক না কেন তা হবে আওয়ামীলীগ কিংবা মহাজোটের চেয়ারম্যান। এর নিয়ে তেমন কোন হিসেব নিকাশ নেই। জামায়াত বিএনপির লোকজন ভোট দিতে যাবেন না। এ ব্যপারে কোন প্রকার আলোচনা সমালোচনা নেই তারা যেন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
আওয়ামীলীগের যারা ভোট দিতে যাবেন তারা এখন দু শিবিরে বিভাক্ত। এক গ্রুপ জাহাঙ্গীর ও অন্য গ্রুপ বদিউজ্জামান। জাতীয় পাটির ভোটরেরা বেশ ফুরফুরে মেজাদে প্রচার চালাচ্ছেন তাদের ভোটে কেউ ভাগ বসাতে পারছেন না। তাদের ভোট যাবে সব লাঙ্গল প্রতীকে। তারা অন্য দলের ভোট পাওয়ার বেশ আশাবাদি। সালাউদ্দীন বিশ্বাস জয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদি।
এদিকে ওয়াকার্স পাটির চেয়ারম্যান প্রার্থী, পানিউন্নয় বোর্ডের সাবেক পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান হাতুড়ী প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনিও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে বেশ জোরেসোরে। তিনি গোদাগাড়ীর হাটপাড়ার মৃত্যু সাজাহান আলী মাস্টারের জামাই ও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় তাকে খুব ছোট করে দেখার নেই। তিনিও জয়ের ব্যপারে বেশ আশাবাদী।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদী। তিনি বলেন, আমি আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করচ্ছি। আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা তার সাথে কাজ করছেন। জয়ের বিকল্প ভাবচ্ছি না।
আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, বছরের পর বছর গোটা উপজেলায় আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করেছি, নেতা কর্মী সমর্থকদের সুখেদুঃখে ছিলাম আছি থাকব। আমার মূল্যায়ন করা হয় নি তাই ব্যালোটের মাধ্যমে এর জাবাব দেয়ার জন্য আগামী ১০ মার্চ তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করছে। বেশীরভাগ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী আমার সাথে আছেন। আমি জয়ের ব্যাপরে শত ভাগ আশাবাদী। ভোটার যদি তার পচ্ছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন তবে আমি বিজয়ী হব ইনসাল্লাহ। আমার নির্বাচনী জোয়ার দেখে একটি গ্রুপ আমার প্রচারে বাধা দিচ্ছেন, অফিস ভ্যাংচুর করছেন, পেস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন, গাড়ী ভ্যাংচুর করছেন অভিযোগ দিয়ে এর প্রতিকার পাচ্ছিনা।
প্রার্থীরা খুব সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরামহীন প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদন্বীতা করছে।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল মালেক (টিউবওয়েল) প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে থাকায় ভোটের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। মাহবুবুর রহমান (উড়োজাহাজ) প্রতীক নিয়ে প্রচারনায় বেশ এগিয়ে রয়েছে। তার পক্ষে আওয়ামীলীগের বেশ কিছু নেতা কর্মী প্রচার চালাচ্ছেন । ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল সরকার (তালা), ও তোহিদ (লাঙ্গল)।
ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছে। নির্বাচন কমিশনে আপীলে প্রার্থীতা ফিরে পেলেও প্রচারণায় এখন তেমনভাবে সুবিধা করতে পারছেন না ভাইস চেয়ারম্যান সালমার ফিরোজ ফয়সালকে। কে উপজেলার চেয়ারম্যান হবেন, কে ভাইস চেয়ারম্যন হবেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১০ মার্চ রাত পর্যন্ত। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি বিনা প্রতিন্দ্বিতায় নিবৃাচিত হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন