সারাদেশের অন্যান্য উপজেলার সাথে সিলেট জেলায় ১২টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল গড়িয়ে দুপুর এলেও ভোট প্রদানে ভোটারদের তেমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই নির্বাচনে ভোট গ্রহণে জড়িত কর্মকর্তাদের গল্পগুজব করে সময় পার করতে দেখা যাচ্ছে।
সোমবার সরেজমিনে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়,
জেলার সিলেট সদর উপজেলার সাহেবের বাজার স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে (পুরুষ কেন্দ্র) ভোট আছে ২৭৪১টি। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাস্ট হয়েছে ৯০০ ভোট।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বদিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ১৪৬২ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২২০ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ উপজেলার তেলিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯টি ভোট, লিটলস্টার কিন্ডার গার্টেন কেন্দ্রে ২৭ ভোট, লালাবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয় (পশ্চিমাংশ) কেন্দ্রে ৩১ ভোট, লালাবাজার দ্বিপাক্ষিক উচ্চবিদ্যালয় (পূর্বাংশ) কেন্দ্রে ১১৮ ভোট, মোহাম্মদীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৮ ভোট কাস্ট হয়েছে।
বদিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জয়দ্বীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম।
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায়ও ভোটারদের সাড়া নেই বলে জানিয়েছেন জকিগঞ্জের সাংবাদিক আল হাছিব তাফাদার। বিয়ানীবাজারের সাংবাদিক সুফিয়ান আহমদও জানিয়েছেন সেখানেও একই অবস্থা। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ভোটার না থাকায় গল্প করে অবসর সময় পার করছেন নির্বাচনী কর্মকর্তা।
বিশ্বনাথের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু জানিয়েছেন, বিশ্বনাথ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম।
এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সোমবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ভোটারদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোণা। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারদের সংখ্যা কিছু বাড়তে থাকে। তবে সেটি একেবারেই নগণ্য।
ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ায় কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বরত নির্বাচন কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করে সময় পার করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও অলস সময় পার করতে দেখা গেছে।
এদিকে সিলেটের জৈন্তাপুরে জাল ভোট দিতে গিয়ে দুই যুবক আটক হয়েছেন পুলিশের হাতে। আটককৃতরা হলেন- সাইফ উদ্দিন ও সায়মন আহমদ। তারা উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হেমু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক হন। তারা ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
একই উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হাউজপাড়া কমিউনিটি মাদ্রাসা কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন