কে এস সিদ্দিকী : শবেবরাত নিয়ে প্রচলিত বেদাত-কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসগুলোর জন্ম তথা উদ্ভব বিকাশ কবে এবং কোথায় ও কীভাবে, সে সম্পর্কে বলার মতো অনেক কথাই আছে। এক কথায় বলা যায়, পারস্য ভূমি হতে ভারত ভূখ-ে শবেবরাত সম্পর্কিত প্রচলিত কুসংস্কারগুলো এখন থেকে চার-পাঁচশ বছর আগে ভারতে শিকড় গেড়ে ছিল। হজরত শেখ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী (র.) তাঁর সময়ে ভারত বর্ষে এটা প্রত্যক্ষ করেছেন। সে মুঘল সা¤্রাজ্যের শেষ দিকের কথা। হযরত শেখ আবদুল হক (র.)-এর যুগ ছিল হিজরি ৯৫৮ থেকে ১০৫২ সাল পর্যন্ত। তাকে ভারতের মাটিতেই উক্ত বিচ্যুতির মোকাবিলা করতে হয়েছিল শক্তভাবে এবং তিনি বিখ্যাত পুস্তক ও বিচ্ছিন্ন রচনায় কুসংস্কারগুলো চিহ্নিত করেছিলেন।
ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের তার আরবি ফারসি রচনাবলির সংখ্যা শতাধিক। এগুলোর মধ্যে তার সর্বাধিক আলোচিত ও জনপ্রিয় পুস্তক হচ্ছে মাসাবাতা বিসু-সুন্নাহ কি আইয়্যামিস-সানাহ্য। এ পুস্তকে শেখ আবদুল হক মাহে শাবান ও শবেবরাতের ফজিলত, তাৎপর্য, কোরআন ও হাদিসের আলোকে তুলে ধরেছেন এবং এ রাতে এবাদত বন্দেগী করতে গিয়ে মসজিদে অবস্থান ও পরের দিন নফল রোজার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সিহাহ সিত্তা গ্রন্থাবলিতে শবেবরাতে জাগ্রত থেকে এবাদত সংক্রান্ত নানা বিষয় বর্ণিত হয়েছে এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন আল হাদিসেরও উল্লেখ করেছেন তিনি এবং কুসংস্কারগুলোও তুলে ধরেছেন। কোরআনের একটি আয়াতের অর্থ : ‘এ রাতে প্রত্যেক হেকমতের কাজের ফয়সালা হয়।’ এ আয়াতের তাফসির প্রসঙ্গে হযরত একরামা (রা) বলেন, শবেবরাতে সারা বছরের সকল কাজের ফয়সালা করা হয়। এ রাতে জীবিত ও হজ পালনকারী সবার নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়, যা পালনে কোনো প্রকারের হ্রাস বৃদ্ধি করা হয় না। (ইবনে জারীর, ইবনে মুনজের এবং ইবনে আবি হাতেম)
কারো কারো মতে, কিতাবত বা লিপিবদ্ধ করার কাজটি শবেকদরে হয়, যদিও এর সূচনা হয় শবেবরাতে।
কাসেম ইবনে মোহাম্মদ ইবনে আবি বকর তার পিতা ও চাচার সূত্রে তাঁর দাদা হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর জবানী বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলতেন : আল্লাহতায়ালা শবেবরাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন। এ রাতে সব গুনাগারকে ক্ষমা করেছেন, তবে মোশরেক এবং হিংসুটে ব্যক্তিকে ক্ষমা করেন না (বায়হাকী)
ইবনে মাজা ও বায়হাকী হজরত আলী (রা.) হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনÑ রাতে শবেবরাতে জাগ্রত থাক এবং দ্বিতীয় দিন রোজা রাখ। কেননা এ রাতে আল্লাহতায়ালা মাগরিবের সময় হতে আল্লাহতায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী কেউ আছে কি যাকে আমি ক্ষমা করে দেব, রুজি তলবকারী কেউ আছে কি যাকে আমি রুজি দান করব, বিপদগ্রস্ত ও পরকাল প্রার্থী কে আছে যাকে আমি পরকাল দান করব। এভাবে ফজর হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ অনুগ্রহ দান করার জন্য জিজ্ঞাসা করতে থাকেন।
শেখ আবদুল হক (র.) এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতি রজনীতে আল্লাহতায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হন এবং তাঁর এ অবতীর্ণ হওয়াটা রাতের শেষ তৃতীয়াংশের হয়ে থাকে, কিন্তু শবেবরাতের রাতে সন্ধ্যে মাগরিবের সময় হতে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত দুনিয়ার আসমানে এ অবতরণ চলতে থাকে। অর্থাৎ সারা রাতই তিনি দুনিয়ায় অবস্থান করেন। আর এ কারণেই শবেবরাতের মর্যাদা-মাহাত্ম্য সর্বশ্রেষ্ঠ। এ রাতে আল্লাহতায়ালার অপরিসীম দানের কথাও উল্লিখিত বর্ণনা হতে প্রমাণিত, যা তিনি ফজর পর্যন্ত প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ হতে জানা যায়।
নওফেল বুকালীর বরাতে তিনি বলেন, হযরত আলী (রা.) শবেবরাতে অধিকাংশ বাইরে গমন করতেন। একবার শবেবরাতে বাইরে আসেন এবং আসমানের দিকে তাকিয়ে বলেন যে, একদা দাউদ (আ.) শবেবরাতে আসমানের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেন, এটি সে সময় যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছে, আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেছেন এবং যে মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেছে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেছেন, তবে শর্ত হচ্ছে দোয়া প্রার্থনাকারীই উশ্বার (একদশম অংশগ্রহণকারী) হবে না, জাদুকর হবে না, আগাম বার্তাদানকারী হবে না, জ্যোতিষী হবে না, জল্লাদ হবে না, ভাগ্য নির্ধারণকারী গণক হবে না, গল্প হবে না এবং বাদক হবে না। অতঃপর হযরত আলী (রা.) এই দোয়া করেন : হে আল্লাহ, হে দাউদের প্রভু! এ রাতে যে দোয়া করবে অথবা মাগফিরাত চাইবে তাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, এ রাতে তোমার বিশেষ করুণা-অনুগ্রহের কথা সর্বজন বিদিত, যদিও অন্য রাতেও তা করে থাকে। অতঃপর বললেন, আল্লাহতায়ালা এ রাতেই সব লোকের মাগফিরাত করেন। কিন্তু মাগফিরাত করেন না মোশরেক, হিংসুটে এবং আত্মীয় সম্পর্ক ছিন্নকারীর। (ইবনে মাজী)
বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, শবেবরাতে জাগ্রত থাকা এবাদতের জন্য মোস্তাহাব। কেননা নীতি হচ্ছে এই যে, যেসব হাদিস দ্বারা কোনো কাজ বলে সাব্যস্ত হবে, সে কাজ মোস্তাহাব, ইমাম তাওজায়ী এ মত পোষণ করেন। এ সম্পর্কে শেখ আবদুল হক (র.) কয়েকজন তাবেঈর নাম উল্লেখ করেন, যারা শবেবরাতে জাগ্রত থেকে এবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত থাকতেন, তারা মসজিদে অবস্থান করতেন। তাদের মধ্যে খালেদ ইবনে মাদানও লোকমান ইবনে আসহাব ছিলেন। তারা শবেবরাতে উত্তম পোশাক পরিধান করতেন, চোখে সুরমা ব্যবহার করতেন এবং মসজিদে সারা রাত এবাদতে ব্যস্ত থাকতেন। শেখ আবদুল হক (র.) আরো বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আমল প্রমাণিত যে, শবেবরাতে তিনি মুসলমান নারী-পুরুষ ও শহীদদের জন্য কবরস্থানে গিয়ে দোয়া করেছেন।
শবেবরাতের ফজিলত সংক্রান্ত কিছু হাদিসকে শেখ আবদুল জাল বলেও আখ্যায়িত করেছেন। যেমন শবেবরাতে রাসূল (সা.) কর্তৃক চৌদ্দ রাকাত নামাজ পড়ার বর্ণনা, তিনি হযরত আলীকে একশত রাকাত নামাজ পড়ার উপদেশ দিয়েছিলেন বলে বর্ণনা ইত্যাদি। বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হবে যে, শবেবরাত (যাকে হাদিসে লাইলাতুন নিছফি মিন শাবান বলা হয়েছে) একটি মহিমান্বিত রজনী, যার বহু বৈশিষ্ট্য ও মহিমার কথা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এবং এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর এবাদত বন্দেগীতে লিপ্ত থাকার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং পরের দিন নফল রোজা রাখার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। এ রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) কবরস্থানে মৃত মুসলমান নারী, পুরুষ ও শহীদের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছিলেন বলেও জানা যায়।
শবেবরাতে প্রচলিত কুসংস্কার
হযরত শেখ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী (র.)-এর জমানায় তৎকালীন ভারত বর্ষে শবেবরাত উপলক্ষে যেসব বেদাত কুসংস্কার প্রচলিত ছিল তিনি সেগুলো সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। তখনকার ভারতীয মুসলিম সমাজ ওইসব কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসের গহ্বরে পতিত হয়ে ইমানহারা হওয়ার অবস্থায় ছিল। তারা ইসলামের সঠিক আদর্শ, শিক্ষা ও প্রকৃত ইসলামী মূল্যবোধগুলোকে হারাতে বসেছিল এবং শিক ও মূর্তি পূজার দেশে বিভ্রান্তির বেড়াজালে হাবুডুবু খাচ্ছিল। মোহাদ্দেস এহেন শোচনীয় পরিস্থিতিতে এ বিভ্রান্ত মুসলিম সমাজকে একদিকে জবানী উপদেশ ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদেরকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন, অপরদিকে তাদের বিকৃত আকিদা বিশ্বাসের সংশোধনের আরবি-ফারসিতে কলম ধারণ করেন। এ সম্পর্কে তার আরবি ভাষার রচিত বিখ্যাত স্বীকৃত মা সাবাতা বিস্ সুন্নাহ মৌলিক গ্রন্থ হিসেবে পরিগণিত। তাঁর এ মৌলিক ও হক্কানী উলামা কর্তৃক স্বীকৃত গ্রন্থে বছরের আরবি ইসলামী মাসগুলোর ফজিলত মাহাত্ম্য কোরআন ও হাদিসের আলোকে বর্ণিত হয়েছে এবং কোনো মাসকে উপলক্ষ করে সমাজে যেসব অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার বাসা বেঁধেছে সেগুলো উৎপাটনে জোরালো ও যুক্তিনির্ভর বক্তব্য এসেছে। এগুলোর মধ্যে শবেবরাতের বিভিন্ন দিকের ওপর পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে। এবার শবেবরাতকেন্দ্রিক কুপ্রথা ও কুসংস্কার সম্পর্কে প্রচলিত সে যুগের কুসংস্কার মোহাদ্দেস দেহলভী (র.)-এর বর্ণনাটি নি¤েœ তুলে ধরা হলো :
হিন্দুস্থানের অধিকাংশ শহরে লোকেরা প্রথা বানিয়ে রেখেছে যে, শাবানে পঞ্চদশ রজনীতে নিজেদের গৃহ প্রাচীরগুলোতে বাতি প্রজ্বালিত করে এবং গর্বের সাথে আলোকিত করে এবং বলে যে, আমরা এমন আলোকসজ্জা করেছি যা অন্যদের চেয়ে উত্তম এবং আমরা এত বড় লোক যে, যারা এককভাবে এবং সামাজিকভাবে এ রাতে আতশবাজি করে থাকে এবং অন্যান্য খেলাধুলা করে থাকে। এগুলো এমন বিষয় যে, কোরআন ও হাদিসের নির্ভরশীল গ্রন্থসমূহে যার কোনো আমল নেই। তাছাড়া অনির্ভরযোগ্য কিতাবেও ওইসব বিষয়ের সুন্নত হওয়ার দুর্বল (জাল) হাদিস ও পাওয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, আরব দেশগুলোর মধ্যে হারামাইন শরীফাইন ও অ-আরব দেশগুলোর অপর কোনো শহরে হিন্দুস্থান ব্যতীত এসব বিষয়ের প্রচলন নেই। এদ্বারা প্রমাণিত হয় যে, খুবই সম্ভব, বরং নিশ্চিত ও দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে বলা যায় যে, হিন্দুস্থানের হিন্দুদের অন্যান্য প্রথাসমূহ পালনের ন্যায় হিন্দুস্থানি মুসলমানগণ ওইসব প্রথার অনুসরণ করে যেমন হিন্দুরা দেওয়ালি উৎসব উপলক্ষে নিজেদের গৃহসমূহের প্রাচীরগুলোতে এবং তাকসমূহে বাতি জ্বালায় এবং হিন্দুস্থানের হিন্দুদের মধ্যে কোফরের কারণে বেদাতি বা কুসংস্কারমূলক বিষয়গুলো অধিক পরিমাণে প্রচলিত। যেহেতু হিন্দুদের সাথে মুসলমানদের খুবই মেলামেশা রয়েছে, হিন্দুরা তাদের নারীদের সাথে মুসলমানদের বিয়েশাদী করে তাই এ মেলামেশা সাধারণ হয়ে যায় এবং বসবাস রীতিনীতির অনুসরণের ফলে মুসলমানরাও অনুরূপভাবে আলোকসজ্জা প্রথার অনুসরণ করতে থাকে। কেউ কেউ বলেন, আমরাও সেটা সাঙ্গ করার থেকে কম মর্যাদাবান নই। ওরা যেভাবে আলোকসজ্জা আয়োজন করে আমরা ওদের চেয়ে উত্তম রূপে করতে পারি।
শবেবরাত উপলক্ষে কুসংস্কারগুলোর অনুপ্রবেশ করার আরো একটি বড় কারণের কথা শেখ আবদুল হক উল্লেখ করেছেন যে, আলী ইবনে ইবরাহিমের বর্ণনা অনুযায়ী আলোকসজ্জা ও বাতি জ্বালানোর প্রথার সূচনা হয় বারমাবিদের শাসন আমলে। তারা ছিল বংশানুক্রমে অগ্নিউপাসক। অগ্নি পূজা ছিল তাদের এতেকাফ বিশ্বাস এবং তারা প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণের পরও কাল্পনিক ও খেয়ালি বিষয়গুলোকে ইসলামে প্রজ্জ্বলনের সাধ্যমতো চেষ্টা করে। কেননা আকিদাগতভাবে তারা সেগুলো প্রাচীন প্রথা হিসেবে সঠিক বলে বিশ্বাস করত। তাছাড়া ইসলামে প্রাচীন রীতি প্রথাগুলোকে অক্ষুণœ রাখার মধ্যে তাদের সুবিধা ছিল এই যে, তারা ইসলামের আড়ালে বাতি জ্বালিয়ে তাকে সেজদা করত এবং অগ্নি উপাসনার প্রাণশক্তি উজ্জীবিত রাখত।
মজার ব্যাপার এই যে, মসজিদগুলোর জাহেল অজ্ঞ ইমামগণ বাতি জ্বালিয়ে এবং নামাজে রাগায়ের এর অন্তরালে লোকদেরকে সমবেত করার প্রথা চালু করেছেন, যাতে নিজেদের কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বের নামে অর্থ লুট করা যায়। একই সাথে কেসসা বর্ণনাকারীরা মজলিসসমূহে কেসসা কাহিনী বয়ান করার সুযোগ পায় এবং গরিবদের অর্থ লুটতে পারে। বাস্তবতা এই যে, এসব মন্দ কাজ বাতিল ও রহিত করার জন্য আল্লাহতায়ালা হেদায়েতের ইমামগণকে পয়দা করেছেন, যাতে মন্দ কাজসমূহ বন্ধ হয়ে যায়। এসব হেদায়েতের সঠিক পথ প্রদর্শনকারী ইমামগণের মধ্যে এমনো কেউ কেউ আছেন যারা দ্বিতীয় হিজরি শতকে আরব ও সিরিয়ার দেশগুলোতে সব মন্দ কাজ উত্তম রূপে নির্মূল করতে প্রচেষ্ট ছিলেন।
হজরত শেখ আবদুল হক (র.) ছিলেন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতে প্রখ্যাত হানাফী মোহাদ্দেস। তাঁর পিতা হজরত শেখ সাইফুদ্দীন সাইফী কাদেরী (র.) ছিলেন হজরত শেখ আমান উল্লাহ পানিপথীর মুরিদ। তার রূহানী মুর্শিদ ছিলেন স্বীয় পিতা, হরজত মুসা কাদেরী (র.), শেখ আবদুল ওহাব মোত্তাকী মক্কী এবং হজরত শেখ বাকী বিল্লাহ নকশবন্দী (র.), শেখ আবদুল হক (র.)-এর মাজার দিল্লিতে হজরত খাজা বখতিয়ার কাকী (র.)-এর মাজারের পাশে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন