সিরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনারা দেশটি থেকে কমপক্ষে ৫০ টন স্বর্ণ লুট করে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছে বলে জানা গেছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় দৈনিক ডেইলি সাবাহ স্বর্ণ লুট-সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য ও সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাস সংবাদ সংস্থাকে একটি সূত্র বলছে, সিরিয়ার উত্তারাঞ্চলীয় প্রদেশ দেইর আজজৌর প্রদেশে দায়েশ গোষ্ঠীদের থেকে দখলকৃত এলাকা থেকে মার্কিন সেনারা আনুমানিক ৫০ টন স্বর্ণ লুট করেছে। তাছাড়া বাকি স্বর্ণগুলো কুর্দিস ওয়াকার্স পার্টির সিরিয়ান পিপলস প্রটেকশন ইউনিট দিয়েছে তারা।
মার্কিন সেনাদের লুট করা সেই স্বর্ণগুলো সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের পাশের কোবানি নামক স্থানে থাকা তাদের সামরিক ঘাঁটি থেকে দেশে পাঠানো হয়। তাছাড়া ইরাকের মসূল প্রদেশ থেকে দায়েশের চুরি করে আনা ৪০টি স্বর্ণ বারও মার্কিন সেনারা লুট করেছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানাকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হাসাকাহ’র আল দাসিশেহ নামক স্থানে দায়েশের যেসব স্বর্ণ মজুত আছে সেগুলো সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে গিছে মার্কিন সেনারা।
তাছাড়া ওই প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, মার্কিন সেনারা দায়েশের একজন নেতৃস্থানীয় নেতাকে আটক করেছে। তাকে নানাভাবে চাপ দেয়া হচ্ছে যাতে সে তাদের সোনার মজুদ কোথায় আছে সে সম্পর্কে তথ্য দেয়।
বিভিন্ন প্রতিবেদন সূত্রের বরাত দিয়ে সোনা লুটের যে দাবি করা হয় তা লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউম্যান রাইটসের করা একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সংস্থাটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন সমর্থিত পিপলস প্রটেকশন ইউনিট দেইর আজজৌরে দায়েশের ফেলে যাওয়া ৪০ টন স্বর্ণ দখলে নেয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউম্যান রাইটসের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ‘দেইর আজজৌর প্রদেশে ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলো যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সামরিক জোট এবং সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সের (এসডিএফ) লক্ষ্য নয়। বরং তারা ইসলামিক স্টেটের সদস্যরা আত্মসমর্পণের পর তাদের কাছে সোনার মজুদের খোঁজ চাচ্ছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন