টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, সড়ক দুর্ঘটনা ও গলায় ফাঁস দিয়ে ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের দাফনের প্রস্ততি চলছে। টেকনাফ মডেল থানা সূত্র জানায়, গতকাল ভোরে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে আটক বনদস্যু গ্রুপের সদস্য ও মাদক কারবারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়ার নবী হোছনের ছেলে মো. নুর হোছন কে নিয়ে স্থানীয় পাহাড়ি এলাকায় অভিযানে গেলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশের এএসআই ফরহাদ, কনস্টেবল মাসুদ রানা ও ফাহিম আহত হয়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ৩টি দেশিয় এলজি, ২ হাজার পিস ইয়াবা, ১২ রাউন্ড গুলি, ৪০ রাউন্ড বুলেটের খোসা উদ্ধার করে।
এদিকে ভোর সাড়ে ৫টারদিকে উপজেলার হ্নীলা মৌলভী বাজার দক্ষিণ পাড়ার মৃত কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল জাব্বার ফজর নামাজ শেষে প্রধান সড়ক দিয়ে হাঁটার পথে একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১১টারদিকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই জামশেদ ও বিবেকান্দ সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ঝাউগাছ হতে ঝুলন্ত অবস্থায় উত্তর জালিয়া পাড়ার সোলতান আহমদের পুত্র মো. রফিক ওরফে সোনা মিয়া এর গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী নুর বাহার জানান, অভাব যন্ত্রণা থেকে সে হতাশাগ্রস্থ হয়ে আত্মহননের পথ বেচে নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন