‘গুণে ভরা বাংলার পেয়ারা’ কথাটি কম বেশি সবারই জানা। বাংলার সব জায়গায় এর কদর রয়েছে। মৌসুমী এ ফলটি প্রায় সকল পরিবারেই পরিচিত। তবে সুস্বাধু এ পেয়ারা ফলটি বর্ষা মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
ছোট-বড় সকলের কাছেই পেয়ারা খুবই প্রিয় একটি ফল। তবে বর্তমানে বর্ষা মৌসুম ছাড়াও বছরের ১২ মাসই পেয়ারা পাওয়া যায়। পেয়ারা শুধু একটি মৌসুমী ফল নয়, বরং এতে পুষ্টি, স্বাস্থ্য উপকারিতা ও বিভিন্ন গুণাগুণ রয়েছে। আর এ কারণেই সবাই এটিকে সুপার ফ্রুট হিসেবেই চিনেন। এবার জেনে নেয়া যাক পেয়ারার কিছু গুণাগুণের কথা।
# পেয়ারা শরীরের অতিরিক্ত শর্করা শুষে নিতে সাহায্য করে। এছাড়াও পেয়ারার মথ্যে যে ফাইবার রয়েছে তা শরীরের জন্য বেশ উপকারি। এই বিশেষ ফলটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও কাজ করে থাকে।
# পেয়ারাতে রযেছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও লাইকোপিন। পেয়ার খাওয়ার ফলে শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয় ও ত্বকের উজ্জ্বলতায় উপকারী। এছাড়াও লাইকোপিনের সাহায্যে মূখে গোলাপী আভা ফুটে ওঠে।
# পেয়ারার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি শরীরের বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। # পেয়ারা ফলটি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় মানুষের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতেও সহযোগী হয়।
# পেয়ারা খেলে শরীরে যেকোন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বা পেটের সমস্যা দুর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পেয়ারার মধ্যে অ্যাস্ট্রিজেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবাল উপাদান থাকায় এটি পাকস্থলীর কার্যক্রিয়া সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
# পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফলে এটি খেলে শরীরের অতিরিক্ত রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ও রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া পেয়ারা ফলটি যেমন অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনি যাদের ওজন একেবারেই কম তারা ওজন বাড়াতে পেয়ারাকে খাদ্যাভ্যাসের তালিকায় নিয়মিত নিতে পারেন। এছাড়াও পেয়ারা ফলটির আরো অসংখ্য গুণের কথা ভেষজবিদদের গবেষনায় পাওয়া যাচ্ছে। তাই ছোট-বড় সবারই অন্তত মাঝে-মধ্যে হলেও এ পেয়ারা ফলটি খাওয়া প্রয়োজন। কারণ আল্লাহর সৃষ্টি সব ফলের মধ্যেই রয়েছে অসংখ্য রোগের ঔষধ।
সাংবাদিক, কলামিস্ট।
বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
amrankaderi@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন