বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপপত্র : সংরক্ষণের অভাবে পেয়ারা চাষিরা ক্ষতির মুখে

প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বরিশালের বানারীপাড়া, ঝালকাঠী সদর এবং পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে দেশি পেয়ারার বাণিজ্যিক চাষ হয়ে থাকে। দেশের সিংহভাগ পেয়ারা এখানে উৎপাদিত হয়। বানারীপাড়ার ১৬ গ্রামে ৯৩৭ হেক্টর, ঝালকাঠীর ১৩ গ্রামে ৩৫০ হেক্টর, স্বরূপকাঠীর ২৬ গ্রামে ৬৪৫ হেক্টর জমিতে পেয়ারা আবাদ হচ্ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পঁচিশ হাজারের মতো মানুষ এ পেশার সঙ্গে জড়িত। এখানকার উৎপাদিত পেয়ারা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে যায়। আরেকটি কারণে এখানকার পেয়ারা জনপ্রিয়। সেটা হলো পেয়ারা সম্পূর্ণ কেমিক্যালমুক্ত। পেয়ারা পাকানোর জন্য কোনোরকম রাসায়নিক পদার্থ দেওয়া হয় না। পেয়ারা খুব অল্প সময়ে পেকে যায়। সংরক্ষণের কোনো উপায় নেই। এ জন্য ঝালকাঠীতে একটি, আটঘর কুড়িয়ানানে একটি সংরক্ষণাগার দরকার। তাহলে কৃষকরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচবে। পেয়ারা সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষণাগার স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শফিকুর রহমান
বানারীপাড়া, বরিশাল।

পশুপাখিদের প্রতি সদয় হোন
পবিত্র কোরআন শরিফে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, তিনি কোনো কিছুই নিরর্থক সৃষ্টি করেননি। সবই জগতের কল্যাণ তথা মানব কল্যাণের জন্য। খুব দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে- এক শ্রেণীর মানুষ কারণে-অকারণে রাস্তার কুকুর বা বিড়ালকে ইট বা পাথর মেরে পঙ্গু করে দিচ্ছে এমনকি গরম পানি ঢেলে দিয়ে ঝলসে দিচ্ছে। নিরীহ প্রাণীগুলো মাসের পর মাস নিদারুণ কষ্ট পেয়ে অভুক্ত থেকে মারা যাচ্ছে। আর আমরা তা চেয়ে চেয়ে দেখছি। দেশের বিদ্যমান আইনে এর কী বিধান আছে জানি না। তবে বেওয়ারিশ কুকুর বেড়ে গেলে পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন বিহিত ব্যবস্থা নিতে পারে। একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আমার অনুরোধ-আসুন আমরা এই অসহায় প্রাণীদের প্রতি সদয় হই। সাধ্যমতে তাদের খাবার দিয়ে বেঁচে থাকার সুযোগ দেই।
মো. হারুন-উর-রশিদ
৫৮/৪৪, উত্তর মুগদাপাড়া, ঢাকা-১২১৪।

ট্রেনের স্টপেজে সময় বাড়ানো হোক
অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী রেলকে মানুষ ভ্রমণের জন্য প্রথম পছন্দ হিসাবে গ্রহণ করে। রেলকে আরো অথ্যাধুনিক করতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিন্তু রেলের কিছু কার্যক্রমে ত্রুটি থাকায় প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা সবসময় ঘটছে। যার মধ্যে অন্যতম ত্রুটি হচ্ছে স্টপেজে সময় কম দেয়া। শিশু ও বৃদ্ধি নিয়ে রেলে ওঠানামা বড়োই কষ্টকর। এর মধ্যে আবার সময় কম। একটি স্টপেজে যাত্রীদের জন্য হাতেগোনা দু-তিন মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে যাত্রী নেমে যাওয়া আবার নতুন যাত্রী ওঠা অত্যন্ত কষ্টকর। স্টপেজের অল্প সময় যাত্রী নামতে নামতেই ফুরিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছেড়ে দেয়ার কারণে বাধ্য হয়ে মানুষ চলন্ত ট্রেনে ওঠার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে। আর এটাই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। দুর্ঘটনা রোধে স্টপেজে ট্রেনের সময় বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আজিনুর রহমান লিমন
আছানধনী মিয়াপাড়া, চাপানীহাট
ডিমলা, নীলফামারী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন